ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন

ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ১০ জানুয়ারি

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা বিচারিক আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে। একইসঙ্গে আগামী ১০ জানুয়ারি মামলাটির অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রংপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে হাজির করা হলে আদালতের বিচারক আরিফা ইয়াসমিন মুক্তা তার নিজস্ব ফাইলে মামলাটি অন্তর্ভুক্ত করে অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য করেন।

এ বিষয়ে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল মালেক জানান, মামলার বাদী আদালতে উপস্থিত থাকলেও আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না এবং তার পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়নি। মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরুর জন্য বিচারক তার নিজস্ব ফাইলে মামলাটি অন্তর্ভুক্ত করে ১০ জানুয়ারি অভিযোগ গঠনের তারিখ নির্ধারণ করেছেন।

এর আগে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের আদালত চত্বরে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ।

গত ২২ অক্টোবর রংপুরে দায়ের করা মানহানির মামলায় গ্রেফতার হন ব্যারিস্টার মইনুল। পরে ২৫ অক্টোবর তার পক্ষে জামিন আবেদন করা হলে আদালতে নথি না আসায় শুনানি স্থগিত করে তাকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন বিচারক।

ওই মামলার জামিন শুনানির জন্য ৩ নভেম্বর ঢাকা থেকে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে। পরে ৪ নভেম্বর শুনানি শেষে মামলার বাদী উপস্থিত না থাকায় তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।

গত ১৬ অক্টোবর রাতে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টকশোতে নারী সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। এ ঘটনায় রংপুরে মিলি মায়া নামে এক নারী বাদী হয়ে গত ২২ অক্টোবর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেন।

মামলাটি আমলে নিয়ে ওইদিন গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক আরিফা ইয়াসমিন মুক্তা। ফলে ওইদিন রাতেই ঢাকায় গ্রেফতার হন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।