ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চায় সাউথ এশিয়ান ল’ ইয়ার্স ফোরাম
সাউথ এশিয়ান ল’ ইয়ার্স ফোরাম

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় সাউথ এশিয়ান ল’ ইয়ার্স ফোরাম

সাউথ এশিয়ান ল’ ইয়ার্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ সালাহ্উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনগণই ক্ষমতার মূল উৎস। ক্ষমতা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। ওই সময় অতিক্রান্ত হলে জনগণের কাছেই ফেরত যেতে হয়। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণই নির্ধারণ করে কারা ক্ষমতাসীন হবেন। তাই নির্বাচন কে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গ্রহণযোগ্য দেখতে চায় সাউথ এশিয়ান ল’ ইয়ার্স ফোরাম।

আজ শনিবার (২৪ নভেম্বর) সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ সালাহ্উদ্দিন বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনটি দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং গণতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যদি তা সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য না হয় তাহলে দেশ গভীর সংকটে পড়বে। এজন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু করার কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন অপরিহার্য। নির্বাচনে সমতল ভূমি তৈরির দায়িত্ব তাদের। কোন দল হারল বা জিতল সেটি মুখ্য নয়। মুখ্য হলো গণতন্ত্রের জয়ের বিষয়টি। গণতন্ত্র জয়ী হলে বাকি সবকিছু এমনিতেই সুন্দর ও স্বচ্ছ হবে।

তিনি বলেন, প্রশাসনের ইচ্ছার ওপরই নির্ভর করে একটি অবাধ, সুষুম ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। আর সরকার বা আমাদের দক্ষ নির্বাচন কমিশন সেটা চাইলেই পারে- এ বিশ্বাস আমাদের আছে। সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে নির্বাচনের আগেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করে নেবে। এতে নির্বাচনের আগেই সে আইনশৃঙ্খলাকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে। আর যদি প্রয়োজন মনে করে তাহলে নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনী নামানো যেতে পারে। এ জন্য সবাই মিলে বসে আলোচনার মাধ্যমে অর্থাৎ রাজনৈতিক দল, শিক্ষক, ছাত্র, বুদ্ধিজীবী, সুধী সমাজের প্রতিনিধি- সবাইকে নিয়ে বসে ঠিক করতে হবে নির্বাচনের সময় কিভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সরকারের সদিচ্ছার ও বিএনপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সদিচ্ছার ওপরই তা নির্ভর করছে। আশা করি বিষয়টি সকল রাজনৈতিক দলের নেতারা ভেবে দেখবেন।