বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া

দণ্ড স্থগিত চেয়ে ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার আপিল

সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিচারিক (নিম্ন) আদালতে সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার তিন বছরের কারাদণ্ডের রায় স্থগিত চেয়ে আপিল আবেদন করা হয়েছে।

আজ সোমবার (২৬ নভেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আপিল করেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার রাগীফ রউফ চৌধুরী।

হাইকোর্টে করা আপিলে দণ্ড থেকে খালাস না চেয়ে স্থগিত চাওয়া হয়েছে এবং তার জামিন আবেদনও করা হয়েছে আপিলে। অসুস্থতার কারণে জামিন চাওয়া হয়েছে বলে জানান তার আইনজীবী।

আপিলের বিষয়টি ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী নিজেই সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার আপিল আবেদনটি হাইকোর্টের বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের একক বেঞ্চে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান আইনজীবী রাগিব রউফ চৌধুরী।

এর আগে গত ২০ নভেম্বর সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়াকে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. শেখ গোলাম মাহাবুব এই রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০০১ সালের ৭ এপ্রিল সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সমস্যা ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াকে তার যাবতীয় সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করার জন্য ৪৫ দিনের সময় দিয়ে একটি নোটিশ দেয় দুদক। ২০০১ সালের ১০ জুন তিনি দুদকের নোটিশটি গ্রহণ করেন।

নোটিশ গ্রহণ করার পরও তিনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্থাৎ ২০০১ সালের ২৫ জুলাই পর্যন্ত কোনো সম্পদের হিসাব দাখিল করেনি। হিসাব বিবরণী দাখিল না করায় ২০০৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুদকের অফিসার লিয়াকত হোসেন বাদী হয়ে রাজধানীর উত্তরা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের পর রফিকুল ইসলাম মিয়ার বিরুদ্ধে দুদক তদন্ত শেষ করে ১৯৫৭ সালের দুর্নীতি দমন আইনের ৪(২) অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। বিভিন্ন সময় ৬ জন এ মামলায় সাক্ষ্য দেন।