ঢাকা-৯ আসনে বিএনপি প্রার্থী মির্জা আব্বাস

মির্জা আব্বাসের মনোনয়ন নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিতে ইসির আপিল

ঢাকা-৯ আসনে বিএনপির মনোনীতপ্রার্থী মির্জা আব্বাসের মনোনয়নপত্র রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠানোর জন্য হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল করেছে নির্বাচন কমিশন।

সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আজ বুধবার (৫ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের পক্ষে এ আবেদন করা হয়েছে। আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে স্থগিত সংক্রান্ত আবেদনের বিষয়ে শুনানি হতে পারে।

মির্জা আব্বাসের আইনজীবী ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে থাকা ঢাকা-৯ আসনে বিএনপির মনোনীতপ্রার্থী মির্জা আব্বাসের মনোনয়নপত্র রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার মনোনয়নপত্র বাছাই সম্পন্ন করতে আদেশে বলা হয়।

একই সঙ্গে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঢাকা-৯ আসন থেকে মির্জা আব্বাসের মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। এছাড়া মনোনয়নপত্র রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে না পাঠিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে রেখে দেয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়।

চার সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, যুগ্ম সচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখা) ও ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

মির্জা আব্বাসের করা আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে মির্জা আববাসের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান।

ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান বলেন, ‘গত ২৮ নভেম্বর ঢাকা-৯ আসন থেকে চেষ্টা করেও মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ১ ডিসেম্বর এটি নির্বাচন কমিশন অফিসে জমা দেয়া হয়। এরপর নিয়ম অনুযায়ী ২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্রটি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠানোর কথা থাকলেও তা করা হয়নি। ফলে ওই মনোনয়নপত্রের যাচাই-বাছাই সম্পন্নের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টের রিট করা হয়।’

প্রসঙ্গত, গত ২৮ নভেম্বর নির্ধারিত সময়ের পর ঢাকা-৯ আসনে মির্জা আব্বাসের পক্ষে তার সমর্থকরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান। কিন্তু তা নিতে অস্বীকার করা হয়। সমর্থকদের অভিযোগ, মির্জা আব্বাসের ছবি দেখেই শেষদিনে মনোনয়নপত্র জমা নিতে গড়িমসি করেন রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।

তবে নির্বাচনী কর্মকর্তারা দাবি করেন, নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসায় তা জমা নেয়া সম্ভব হয়নি।