একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ

বৈষম্যের ঊর্ধ্বে থেকে রাগ-অনুরাগ প্রশ্রয় না দিয়ে আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগের নির্দেশ দিয়ে প্রজ্ঞা ও মেধা খাটিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে হবে। আতঙ্ক নয়, কমিশন চায় আস্থার একটি পরিবেশ।

আজ সোমবার (১০ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের ব্রিফিংয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা একথা বলেন।

তিন ধাপে মোট ৬৪০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে ব্রিফ করবে কমিশন। ভোটগ্রহণের আগের দিন, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরের দু’দিন নির্বাচনের মাঠে নিয়োজিত থাকবেন এরা।

কে এম নূরুল হুদা বলেন, আপনারা সাংবিধান ও আইনের ভিত্তিতে দায়িত্ব পালন করবেন। সুতরাং, সাংবিধানিক দায়িত্ব ও স্বাধীনতার ক্ষেত্রে মূলত আজ থেকেই নির্বাচনী ডামাডোল শুরু হয়ে গেলো। বাকিটা মাঠে আপনাদের দায়িত্ব। আপনি স্বাধীন, আপনি নিরপেক্ষ, আপনি বিচারক, বিচারকের মাইন্ড আপনাকে অ্যাপ্লাই করতে হবে।

‘নির্বাচন কীভাবে সুষ্ঠুভাবে করবেন, সেটি আপনি আপনার মেধা, প্রজ্ঞা দিয়ে বিবেচনা করবেন। সংবিধান, জাতি, রাজনৈতিক দল ও ভোটারের কাছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনেরর জন্য কমিশন দায়বদ্ধ।’

এসময় তিনি আস্থা অর্জনের জন্য নিরপেক্ষভাবে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন।

সিইসি আরো বলেন, ছয়শ’র বেশি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি মাঠে থাকবেন। বৈষম্যের ঊর্ধ্বে থেকে রাগ-অনুরাগ প্রশ্রয় না দিয়ে আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগের নির্দেশ দিয়ে প্রজ্ঞা ও মেধা খাটিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে হবে। আতঙ্ক নয়, কমিশন চায় আস্থার একটি পরিবেশ।

জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের সরব উপস্থিতি চায় কমিশন। কেউ শিথিলতা ও পক্ষপাতিত্ব করলে ১৯৯১ সালের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।

তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে একটাই স্বপ্ন, কোনো প্রার্থী যেন ভোটের মাধ্যমে নিজের জয় নিশ্চিত না করে জাতীয় সংসদে আসতে না পারে।

ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।