পুলিশ (প্রতীকী ছবি)
পুলিশ (প্রতীকী ছবি)

সহকারী পুলিশ কমিশনারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা

রাজধানীর খিলাগাঁও জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) নাদিয়া জুইঁসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যার হুমকি, চাঁদাবাজি ও ভয় দেখানোর অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আজ সোমবার (১০ ডিসেম্বর) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলাতি দায়ের করেছেন সাপ্তাহিক তদন্ত চিত্র -এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জিয়াউর রহামান।

পরে ঢাকার মহানগর হাকিম কনক বড়ুয়া বাদীর জবানবন্দি নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-কে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমান, নাছির উদ্দিন তুহিন (এসআই), ফজলু, এএসআই মাসুদ, আমিরুল (কনস্টেবল), মাদক ব্যাবসায়ী নূর মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান স্বপন, লুঙ্গি ফারুক (পুলিশের সোর্স) ও রহমান। বাদী পক্ষের আইনজীবী ওয়াহিদা আক্তার শিল্পী বাংলা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য জানান।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি নূর মোহাম্মদ একজন মাদক ব্যবসায়ী। তিনি আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে, এলাকায় মাদকাসক্তি নিরায়ম কেন্দ্রের নামে মাদকের আখড়া, নারী ব্যবসা চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের হয়ে কাজ করেন। খিলগাঁও থানা তার বিরুদ্ধে কোনও মামলা নেয় না। সাধারণ মানুষ প্রশাসন ও আদালতের আশ্রয় নিলেও এসি নাদিয়ার সহযোগিতার কারণে তার (নূর মোহাম্মদ) বিরুদ্ধে কোনও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। যারা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন উপরন্তু এসি নাদিয়ার সহযোগিতায় তাদের বিরুদ্ধে হামলা, গুম, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও মিথ্যা মামলা দায়ের করে নূর মোহাম্মদ।

এজাহারে আরও বলা হয়, গত ২৩ জুলাই নূর মোহাম্মদ ও নাদিয়া জুঁয়ের বিরুদ্ধে সাপ্তাহিক তদন্ত চিত্রে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর গত ২৯ জুলাই জিয়াউর রহমানের নামে তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করা হয়। পর দিন (৩০ জুলাই) বাদীর পত্রিকা অফিস ডিআইটি রোড মালিবাগ রেলগেটে পুলিশ অভিযান চালায়। সেখানে এসি নাদিয়া জুঁই ও মশিউর রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় বাদীকে মারধর করা হয়। তার অফিস থেকে পাঁচ লাখ চার হাজার ৪০০ টাকার মালামাল এবং তদন্ত চিত্রের (বর্ষ ২৪, সংখ্যা ৩৪) পাঁচ হাজার কপি নিয়ে যান আসামিরা। এই ঘটনা কাউকে জানালে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলা হবে বলে হুমকি দেন নূর মোহাম্মদ। তদন্ত চিত্রের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জিয়াউর রহামানকে ওইদিন গ্রেফতার করা হলেও ৩১ জুলাই রামপুরা থেকে বাদীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এরপর আদালতে আনার আগে কনস্টেবল আমিরুল বাদীকে মারধর করেন। পুলিশ জিয়াউর রহামানের ১০ দিন রিমান্ড চাইলে আদালত দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে নিয়ে আসামি নাছির উদ্দিন তুহিন ও মাসুদ বাদীর স্ত্রী রেশমী রহমানকে ফোন করে এক মাদক ব্যবসায়ীকে মারধর করে তার কান্না শুনিয়ে একলাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। ওই ঘটনার সব বিষয় বাদী ৯ নম্বর আসামি মশিউর রহমানকে জানালে তিনি আরও মামলা করার হুমকি দেন।