রাশেদ খান মেনন

মেননের শপথ নিয়ে রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের নামে গেজেট প্রকাশ ও শপথ গ্রহণ স্থগিত চেয়ে করা রিট কার্যতালিকা (কজ লিস্ট) থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী আকন্দ। পরে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রিট আবেদনটি শুনানি করার জন্য আজ আদালতে দিন নির্ধারণ করা ছিল। কিন্তু আদালত মামলাটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন। আদালত বলেছেন এ ধরনের মামলার শুনানি করার এখতিয়ার তাদের নেই। তাই এ ধরনের রিটের জন্য নির্ধারিত বেঞ্চে আবেদন করতে বলেন হাইকোর্ট।’

এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের নামে গেজেট প্রকাশ ও শপথগ্রহণ স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। গত ১ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ঢাকা-৮ আসনের লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ড. ইউনুছ আলী আকন্দ।

রিটে রাশেদ খান মেননকে বিজয়ী করে ঢাকা-৮ আসনের ফলাফল ঘোষণা করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়। একইসঙ্গে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ ও শপথগ্রহণ স্থগিত রাখার নির্দেশনাও চাওয়া হয়।

রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, জাতীয় সংসদের স্পিকার, আইন সচিব, ঢাকা বিভাগীয় রিটার্নিং কর্মকর্তা, রাশেদ খান মেনন, রাষ্ট্রপতি কার্যালয় সচিবসহ সাতজনকে বিবাদী করা হয়।

পরে রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, নির্বাচনে রাশেদ খান মেননের লোকেরা নিজেরা সিল মেরেছে। তাই ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেনি। আমি বারবার নির্বাচন কমিশনের অভিযোগ দেওয়ার পরও কমিশন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। যা সংবিধানের ৬৬ ধারার লঙ্ঘন। এছাড়া রাশেদ খান মেনন লাভজনক পদে থেকে নির্বাচন করেছেন, যা আরপিও (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) ২০ ধারার লঙ্ঘন এবং তার নির্বাচনি পোস্টারে আওয়ামী লীগ সভাপতির ছবি ব্যবহার করে আচরণবিধি ২০০৮ আইন লঙ্ঘন করেছেন বলেও রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ অভিযোগ করেছিলেন।