বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া (ফাইল ছবি)

নাইকো দুর্নীতি মামলার চার্জ শুনানি ২১ জানুয়ারি

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে করা নাইকো দুর্নীতি মামলায় চার্জ শুনানি আবারও পিছিয়ে ২১ জানুয়ারি (সোমবার) দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ রোববার (১৩ জানুয়ারি) নাজিমুদ্দিন পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মাহমুদুল কবীর আংশিক শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালতে হাজির করা হয়।

গত ৩ জানুয়ারি আদালতে হাজির করা হলে অসন্তোষের কথা জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, তিনি আর আসতে পারবেন না। যা সাজা দেওয়ার দিয়ে দিতে।

ওইদিন মামলার অন্যতম আসামি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের পক্ষে চার্জ শুনানি শেষ না হওয়ায় রোববার দিন ধার্য ছিলো।

খালেদা জিয়া ছাড়াও এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন।

এই মামলার অপর আসামি সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহা-ব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ পলাতক রয়েছেন।

মোট ১১ আসামির মধ্যে ২০১৮ সালের ৫ মে মামলার অন্যতম আসামি সাবেক সচিব শফিউর রহমান মৃত্যুবরণ করায় বর্তমানে আসামির সংখ্যা ১০।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।

এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় অর্থের ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
২০০৮ সালের ৫ মে আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেওয়া হয়।

পরবর্তীতে নাইকো ছাড়াও গ্যাটকো ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তা বাতিলের আবেদন জানিয়ে পৃথক রিট করেন খালেদা জিয়া। এসব রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত ও রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

কয়েক বছর ধরে স্থগিত থাকার পর মামলাগুলো সচলের উদ্যোগ নিয়ে রুল নিষ্পত্তির আবেদন জানায় দুদক। ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ মামলার ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য আবেদন জানান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল।