আইনজীবী রথিশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা (ইনসেটে)

আইনজীবী বাবুসোনা হত্যা মামলার রায় ২৯ জানুয়ারি

রংপুরে অ্যাডভোকেট রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বাবুসোনা হত্যা মামলার রায় ২৯ জানুয়ারি ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন আদালত।

এ মামলার ৩৭ জন সাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে সোমবার (২১ জানুয়ারি) রংপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এবিএম নিজামুল হক রায়ের দিন ধার্য করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল মালেক এবং তাকে সহযোগিতা করেন শাহ মো. নয়ন্নুর রহমান টফি, অ্যাডভোকেট উৎপল আদনান ইসলাম, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম তুহিন, অ্যাডভোকেট ফিরোজ কবির গুঞ্জন, অ্যাডভোকেট সাজেদুর রহমান তাতা, অ্যাডভোকেট শিরিন, অ্যাডভোকেট প্রশান্ত কুমার রায়, অ্যাডভোকেট আব্দুস ছাত্তার, অ্যাডভোকেট আইনুন নাহার পাপড়ী, অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মাহমুদুল ইসলাম রানাসহ অর্ধশতাধিক আইনজীবী। অপরদিকে আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন স্টেট ডিফেন্স (রাষ্ট্র নিযুক্ত) আইনজীবী বসুনিয়া মো. আরিফুল ইসলাম স্বপন।

রংপুর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌশুলী (পিপি) আব্দুল মালেক জানান, গত ৩০ অক্টোবর এই হত্যা মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করা হয়। এর আগে গত ২১ অক্টোবর অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরুর আদেশ দেন এ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক। যুক্তিতর্ক শুরুর আগে কড়া পুলিশী পাহারার মধ্য দিয়ে এই হত্যা মামলার একমাত্র বেঁচে থাকা আসামি অ্যাডভোকেট রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বাবুসোনা হত্যা মামলায় সরকারী কৌশুলীর (পিপি) স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার ওরফে দীপাকে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৯ মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে রংপুর বারের সহকারী সম্পাদক ও সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক বাবু সোনাকে ১০টি ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর তার লাশ তাজহাট মোল্লাপাড়ায় প্রেমিক শিক্ষক কামরুলের ভাইয়ের নির্মাণাধীন বাড়ির ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখা হয়। পরে ৩ এপ্রিল মধ্যরাতে বাবু সোনার স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার ওরফে দীপাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব আটক করে। তিনি এ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন এবং লাশের অবস্থান সম্পর্কে তাদের জানান। সেই সূত্র ধরে ওই দিন রাতে মোল্লাপাড়ার একটি বাড়ির মেঝে খুঁড়ে নিহত আইনজীবী বাবু সোনার গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাবু সোনার স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার ওরফে দিপা, প্রেমিক শিক্ষক কামরুল ইসলাম, বাবুসোনার সহকারী মিলন মোহন্ত, ছাত্র মোল্লাপাড়া এলাকার সবুজ ইসলাম ও রোকনুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে।