অর্পিত সম্পত্তি আইন

অর্পিত সম্পত্তি বনাম অমিমাংসিত জটিলতা : শেষ পর্ব

পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে (অর্পিত সম্পত্তি বনাম অমিমাংসিত জটিলতা : পর্ব-১) যে, কতিপয় সম্পত্তি বাংলাদেশী মূল মালিক বা তার বাংলাদেশী উত্তরাধিকারী বা উক্ত মূল মালিক বা উত্তরউত্তরাধিকারীর বাংলাদেশী স্বার্থাধিকারী (Successor-in-interest) এর নিকট প্রত্যর্পণ করা বা ফেরত দেওয়ার উদ্দেশ্যে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন, ২০০১ প্রণয়ন করা হয়েছে। এই আইনে ৩৩ টি ধারা আছে এবং ২০১১ ইং – ২০১৩ ইং সাল পর্যন্ত মোট ৩টি সংশোধনী আনা হয়েছে। এই আইনে অর্পিত সম্পত্তিকে প্রত্যার্পণযোগ্য সম্পত্তি, অধিগ্রহণকৃত সম্পত্তি এবং প্রত্যার্পণযোগ্য জনহিতকর সম্পত্তি নামে অভিহিত করা হয়েছে। অর্পিত সম্পত্তি অবমুক্তি বিধিমালা ২০১২ জারী করা হয়। এবার ২০০১ সালের অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন পর্যালোচনায় করে দেখা যাক একটি অর্পিত সম্পত্তির মামলা নিষ্পত্তিতে কি কি বিচার্য্য বিষয় নির্ধারণ করতে হবে –
ক) আকারে ও প্রকারে এই মামলা চলতে পারে কিনা?
খ) আবেদনকারী মালিক কিনা?

২০০১ সালের অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনের ১০(১) ধারা মতে আবেদনকারীকে অবশ্যই মালিক হতে হবে। আবার এই আইনের ২(ড) ধারা মতে ‘মালিক’ অর্থ
অ) মূল মালিক বা
আ) তার উত্তরাধিকারী বা
ই) উক্ত মূল মালিক বা
ঈ) উত্তরাধিকারীর successor in interest, বা
উ) তাদের অনুপস্থিতিতে তাদের উত্তরাধিকার সূত্রে এমন সহ-অংশীদার( Co-sharer in possession by lease or in any form) যিনি বা যারা ইজারা গ্রহণ দ্বারা বা অন্য কোনভাবে সম্পত্তির দখলে রয়েছেন। উক্ত উপধারা মতে বর্ণিত ৫ শ্রেণীর ব্যক্তিকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।

গ) নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে আবেদন করা হয়েছে কিনা –
এই আইনের ১০ (১ক) ধারা অনুসারে প্রার্থীককে অবশ্যই ২০১৩ ইং সনের ৩১ শে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে আবেদন করতে হবে।

ঘ) প্রার্থীত মতে প্রতিকার পেতে পারে কিনা?
বর্তমান সময়ে একটি লক্ষ্যণীয় বিষয় এই যে, অনেক অর্পিত সম্পত্তির মামলায় বিজ্ঞ আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক পর্যায়ে Ground of Defence এর আশ্রয় নেওয়ার জন্য তোড়জোড় করেন এবং যুক্তি দেখাতে চেষ্টা করেন যে, যেহেতু নালিশী ভূমির অর্পিত সম্পত্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্তিকরন যথাযথ হয়নি কিংবা সরকার বিবাদীর উপর প্রমাণের দায়িত্ব থাকলেও তা প্রমাণ করেনি কিংবা বিজ্ঞ আইনজীবী নালিশী সম্পত্তি দেবত্তোর সম্পত্তি বা ইস্টোপেল নীতির আশ্রয় নিয়ে থাকেন। এখন প্রশ্ন আসতে পারে ট্র্যাবুনাল কি উক্ত Ground of Defence বিবেচনা করার সু্যোগ রাখেন?

২০০১ সালের অর্পিত সম্পত্তি আইনের অধীনে Ground of Defence বিবেচনায় নেয়ার সুযোগ নাই অর্থাৎ বর্তমানে অর্পিত সম্পত্তির মামলায় Ground of Defence বিবেচনায় নেয়ার ট্র্যাইবুনালের কোন সুযোগ নাই। কেননা কোন একটি বিচার্য্য বিষয় যদি প্রার্থীকের বিপক্ষে যায় অর্থাৎ প্রার্থীক যদি নালিশী সম্পত্তির “মালিক” প্রমাণ করতে না পারে তাহলে সে Ground of Defence এর আশ্রয় গ্রহণ করে কি লাভ হবে তা বোধগম্য নয়। ধরে নিলাম বিজ্ঞ আইনজীবী ট্র্যাইবুনালের নিকট প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে যে, সরকার বিবাদী নালিশী সম্পত্তি যথাযথভাবে অর্পিত তালিকাভূক্ত করেন নাই অথবা সরকার বিবাদীর উপর প্রমাণের দায়িত্ব থাকলেও সরকার বিবাদী তা প্রমাণ করেন নাই কিংবা নালিশী সম্পত্তি দেবত্তোর সম্পত্তি কিন্তু যে কোন একটি বিচার্য্য বিষয় যদি প্রার্থীকের বিপক্ষে যায় কিংবা প্রার্থীক যদি নালিশী ভূমির মালিক মর্মে প্রমাণ করতে না পারেন তাহলে Ground of Defence এর আশ্রয় নিয়ে কি লাভ তাতে কি দরখাস্ত মঞ্জুর হবে? নিশ্চয় নয়। তাহলে প্রতীয়মান হয় যে অর্পিত সম্পত্তির মামলায় বিজ্ঞ আইনজীবীরা যে Ground of Defence এর আশ্রয় নেন তার কোন ভিত্তি নাই কি ট্র্যাইবুনালের বিবেচনায় আনার কোন সুযোগ নাই।

সম্প্রতি অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে হাই কোর্টে “Enemy Property (Continuance of Emergency Provisions) (Repeal) Act, 1974 (XLV of 1974), এর ৩ ধারা, Enemy Property (Continuance of Emergency Provisions) (Repeal) Amendment Ordinance 1976 (Ordinance No.XCII of 1976) অর্ডিন্যান্স এবং অর্ডিন্যান্স অনুবলে গৃহীত কার্যক্রম এবং ১৯৭৪ সালের আইনের পরবর্তী সময়ে নতুন সম্পত্তিকে শত্রু সম্পত্তি হিসেবে অন্তর্ভূক্তিকরণ এবং ২০০১ সালের আইনের ৬(গ)(ঘ) ধারা কে চ্যালেঞ্জ করে রিট নং ৮৯৩২/১৮ আনয়ন করলে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ বিগত ২৩/১১/২০১৭ ইং তারিখে রায় প্রচার করেন।

এই রায়ের ১৩৯ প্যারায় ৪৬ ডিএলআর ১৩৬ নং পৃষ্টায় রেকর্ডকৃত হাই কোর্ট বিভাগের লক্ষ্মী কান্ত রায় বনাম ইউএনও, ৫৬ ডিএলআর ৭৩ নং পৃষ্টায় রেকর্ডকৃত আপীল বিভাগের আরতি রানী পাল বনাম সুধর্শন কুমার পাল, ৫৮ ডিএলআর ১৭৭ নং পৃষ্টায় রেকর্ডকৃত আপীল বিভাগের সাজু হোছেন এবং ৩৩ ডিএলআর ৩০ নং পৃষ্টায় রেকর্ডকৃত আপীল বিভাগের পুলিচান্দ ওমরাওলাল মামলা উল্লেখ করে হাই কোর্ট সিদ্ধান্ত দেন যে, ২৩.০৩.১৯৭৪ ইং তারিখের পর হতে বাংলাদেশের অধিক্ষত্রে শত্রু বা অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে অন্তর্ভূক্তুকরন সংক্রান্ত সকল কার্যাদি ও সিদ্ধান্ত অবৈধ হবে এবং যে সকল ব্যক্তি এই অন্তর্ভূক্তকরণ প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকবে তারা আদালত অবমাননার জন্য দায়ী থাকবেন।

রায়ে চ্যালেঞ্জকৃত আইন বাতিল না হলেও এ আইনকে “historical mistake” বলে মন্তব্য করে পাঁচটি পর্যবেক্ষণ ও ৯ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। হাইকোর্টের রায়ে ভবিষ্যতে আর কোনো সম্পত্তিকে সরকারি গেজেটের মাধ্যমে অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত করার কোনো উদ্যোগ না নিতে সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে আইনের ১০ ধারা মামলা নিষ্পত্তির জন্য এক বা একাধিক বিশেষায়িত ট্রাইব্যুনাল গঠনেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ট্রাইব্যুনালকে আইনে (২০০১ সালের অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন) বেঁধে দেওয়া সময়সীমা কঠোরভাবে মেনে চলতে বলা হয়েছে।

রায়ে বলা হয়েছে, যেসব অর্পিত সম্পত্তির আইনগত দাবিদার নেই সেই সম্পদ শুধু মানবিক উন্নয়নকাজে ব্যবহার করতে হবে। যেসব সম্পদ সরকারের অনুকূলে অর্পিত হয়েছে, সেসব সম্পদ ব্যবহারের জন্য আইন করতে হবে। যেসব সম্পদ আইনগত অধিকারীকে ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়, সে ক্ষেত্রে আইনগত দাবিদারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে আইন করতে হবে।

এই রায়ের মর্ম মতে আইন মন্ত্রণালয় বিগত ০৩/০৪/২০১৮ ইং তারিখের একটি প্রজ্ঞাপনে সুনির্দিষ্ট আইন ও বিধিবহির্ভূতভাবে রিট আবেদন দাখিল করার জন্য প্রস্তাব প্রেরণ করায় আইনগত জটিলতা এবং জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সকল জেলা প্রশাসকদের অবহিত করতে অনুরোধ করেছেন।

আইন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন ২০০১-এর ২২(৩) ধারার বিধান বিদ্যমান থাকাবস্থায় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন স্মারকে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ট্রাইব্যুনাল ও আপিল ট্রাইব্যুনালের রায় বাস্তবায়নের উপযুক্ত নির্দেশনা থাকার পরও জেলা প্রশাসকরা হাইকোর্টে রিট আবেদন দাখিল করার জন্য প্রতিনিয়ত আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগে প্রস্তাব পাঠাচ্ছেন।অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করার জন্য আর কোনো প্রস্তাব না পাঠাতে জেলা প্রশাসকদের প্রতি নির্দেশনা জারি করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও ভূমি সচিবকে চিঠি দিয়েছে এবং চিঠিতে জেলা প্রশাসকদের প্রতি নির্দেশনা জারি করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

নতুন আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনাল কে কিছু সমস্যার মুখোমুখি হয়ে হয় কিন্তু তার সমাধান আইনে নাই। যেমন –

  • ২০০১ সালের অর্পিত সম্পত্তি নতুন আইনের ১৩ (১) (ক) ধারা মতে প্রত্যর্পণযোগ্য সম্পত্তির তালিকাভূক্ত কোন সম্পত্তি নিয়ে যদি কোন আদালতে স্বত্ব দাবী বা তা অর্পিত সম্পত্তি মর্মে দাবী করে কোন মামলা বিচারাধীন থাকে তাহলে গেজেটে প্রকাশের তারিখে উক্ত সম্পত্তি যতটুকু জড়িত ততটুকু বাবদ মামলাটি আপনা আপনি abated হয়ে যাবে। এখন থেকে তা দেখবেন কেবল ট্রাইব্যুনাল। অন্যদিকে উচ্চাদালতের অনেক সিদ্ধান্ত আছে যে, আরজীর তফসীল সংশোধন করা যাবে না। কিন্তু অনিষ্পন্ন/ বিচারাধীন মামলার তফসীল হতে যখন তালিকাভূক্ত সম্পত্তিটি নিয়ে নেওয়া হবে তখন পরিবর্তিত তফশীলের উপর বিচারাধীন মামলাটি কিভাবে নিষ্পত্তি হবে কিংবা নিষ্পত্তি করতে গিয়ে আইনি ব্যপ্তয় ঘটবে কিনা সেই বিষয়ে নতুন আইন কোন সুনির্দিষ্ট বিধান রাখে নাই।
  •  মাঝে মাঝে দেখা যায়, অনিষ্পন্ন মামলার বাদীর নাম ২০১২ সালের তালিকাতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি কিন্তু নালিশা সম্পত্তি তালিকাভূক্ত করা হয়েছে। এমতাবস্থায় নতুন আইনের ১৩ (২) (১) ও ৬ ধারা মতে অনিষ্পন্ন মামলার বাদী ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি নন বিধায় সে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে পারবে না। আবার নতুন আইনের ১৩(১)(ক) ধারার বিধান মোতাবেক বাদীর স্বত্ত ঘোষণার মামলা কিন্তু abated হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় বাদীর কি প্রতিকার আছে – এ বিষয়ে নতুন আইনে কোন বিধান নাই। যেমন – অনিষ্পন্ন মামলার বাদী ‘ক’ নামক ব্যক্তি কিন্তু ঐ মামলার নালিশী সম্পত্তি তালিকাভূক্ত হয়েছে ‘খ’ নামক ব্যক্তির নামে যে কিনা ইতমধ্যেই নতুন আইনে দরখাস্ত করেছে। এখন বাদী ‘ক’ এর প্রতিকার কি?
  • গেজেট তালিকায় একই খতিয়ানের দাগ নম্বর উল্লেখ নাই কিন্তু অন্য দাগ সহ খতিয়ান নম্বর উল্লেখ থাকার কারণে অন্যান্য দাগের জন্য সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিস যদি খাজনা গ্রহণ না করে আইনি অস্পষ্টতার কারণে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির কোন প্রতিকার নাই।
  • অবিভক্ত ও অবিভাজ্য নালিশী সম্পত্তিতে একজন সহ অংশীদারের আবেদনের ভিত্তিতে আবেদন টি যদি মঞ্জুর হয় তাহলে কিভাবে তার অবিভক্ত ও অবিভাজ্য অংশটি তালিকা হতে অবমুক্ত করা হবে সেই বিষয়ে নতুন আইনে কোন নির্দেশনা না থাকার কারণে জটিলতা সৃষ্টি হয়।
  • প্রকাশিত তালিকায় যদি কোন ভূল থাকে সেই ভূল সংশোধনী বিষয়ে নতুন আইনে কোন ব্যবস্থা না থাকায় সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে প্রতিকার প্রদানের কোন সুযোগ থাকে না।
  • নতুন আইনে দরখাস্ত মঞ্জুর হলেও প্রার্থীকের নামে ল্যাটেস্ট রেকর্ড সংশোধনী তথা নামজারী করতে জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়। এ সংক্রান্তে নতুন আইনে সুনির্দিষ্ট প্রভিশন না থাকার কারণে সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিস ও প্রার্থীক উভয়ে বিভ্রান্তিতে পতিত হয়ে সংশোধন বা নামজারী প্রক্রিয়ায় জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয় টি সমাধানের জন্য ২০১৩ সালে একটি স্মারক মূলে ভূমি মন্ত্রণালয়ের একটি প্রজ্ঞাপন মূলে ল্যাটেস্ট খতিয়ান সংশোধন বা নামজারী করার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্বাহী আদেশ থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।
  • ৩য় পক্ষ অর্থাৎ যে প্রার্থীক বা বন্দোবস্তি গ্রহীতা বা প্রকাশিত তালিকার সাথে সম্পর্কিত নয় সে মহামান্য হাই কোর্টে রিট মামলা আনয়ন করার সুযোগ থাকায় নতুন আইন ৩য় ব্যক্তির অবস্থান সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট প্রভিশনের বাবস্থা করেন নাই। যদিও সম্প্রতি মহামান্য হাই কোর্ট একটি মামলায় বিষয়টি নিয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য যথাযথ কতৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
  • রেকর্ডীয় মালিক একজনের বেশি কিন্তু তালিকায় নাম এসেছে একজনের নামে এমতস্থায় তালিকায় যার নাম আসেনি তার প্রতিকার বিষয়ে আইনে বলা নাই।
  • একই দাগের সম্পত্তি দুই জন মালিকের নামে তালিকাভূক্ত হয়েছে আর দুইজনই আলাদা আলাদা ভাবে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেছে। ইতমধ্যে ট্রাইব্যুনাল একজনের আবেদন নিষ্পত্তি করে দাগটি তালিকা হতে অবমুক্তির ঘোষণা দিয়েছে কিন্তু আর একটি আবেদন বিচারাধীন আছে। বিরোধীয় দাগ কিন্তু ইতমধ্যে অবমুক্ত হয়ে গেছে। তাহলে ২য় আবেদনটি ফ্রুটলেস কারণ প্রার্থীত সম্পত্তি তো ইতমধ্যেই অবমুক্ত হয়েছে। তাহলে বিচারাধীন আবেদন টির আর নিষ্পত্তির প্রয়োজন নাই। কিন্তু সেই বিচারাধীন মামলা কিভাবে নিষ্পত্তি হবে (অবমুক্ত নাকি খারিজ) সেই বিষয়ে নুতুন আইনে কিছু বলা নাই।

লেখক : জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, কক্সবাজার।

আরও পড়ুনঅর্পিত সম্পত্তি বনাম অমিমাংসিত জটিলতা : পর্ব-১