দেশের আদালতসমূহে ৪০ লাখের বেশি মামলা বিচারাধীন: আইনমন্ত্রী
সংসদে আইনমন্ত্রী

ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলের ৩৭৮ আইন এখনও চালু : সংসদে আইনমন্ত্রী

ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে প্রণীত ৩৭৮টি আইন বাংলাদেশে এখনও চালু রয়েছে বলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন।

আজ সোমবার (১১ মার্চ) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে চট্টগ্রাম-৩ আসনের মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় মন্ত্রী ৩৭৮টি আইনের তালিকাও উপস্থাপন করেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

আইনমন্ত্রীর উপস্থাপিত তালিকায় দেখা গেছে, সর্বপ্রথম আইনটি হলো ১৭৯৯ সালের The Wills and Intestacy Regulation এবং সর্বশেষটি ১৯৭০ সালের The Government and local Authority Lands Buildings (Recovery of Possession) Ordinance (East Pakistan Ordinance).

আইনমন্ত্রী জানান, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার অব্যবহিত আগে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে প্রযোজ্য আইনকে ওই বছর ১০ এপ্রিল তারিখে জারিকৃত Laws Continuance Enforcement Order দিয়ে একই তারিখে জারি করা Proclamation of Independence-এর বিধান সাপেক্ষে অব্যাহত রাখা হয়। অব্যাহত থাকা ওই আইনগুলোতে পরে সংবিধানের ১৪৯ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে হেফাজত করা হয়েছে। ১৯৭৩ সালে Bangladesh Laws (Revision and Declaration) প্রণয়নের মাধ্যমে স্বাধীনতাপূর্ব আইনগুলোকে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও অভিযোজনপূর্বক বহাল রাখা হয়েছে।

দেশের প্রচলিত আইনের সংস্কার, সংশোধন ও আধুনিকীকরণ চলমান প্রক্রিয়া উল্লখ করে আনিসুল হক বলেন, ‘বাস্তব অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে প্রচলিত আইনের সংস্কার, সংশোধন ও আধুনিকীকরণ হয়ে থাকে। এ লক্ষ্যে অচল আইনগুলো বাতিল, প্রচলিত আইনগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও তার যুগোপযোগী সংস্কার, ক্ষেত্রমতে নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা আইন কমিশন আইন সংশোধন বা বাতিল করে নতুন আইন প্রণয়নের সুপারিশ করলে সরকার সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।’

চট্টগ্রাম-১১ আসনের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘দেশের ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে (৩১ ডিসেম্বর ২০১৮) বিচারাধীন মামলার সংখ্যা দুই লাখ ৯৪ হাজার ৪০৮টি।’

পাবনা-১ আসনের শামসুল হক টুকুর প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, দেশে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা (৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত) ৩৫ লাখ ৬৯ হাজার ৭৫০টি। এর মধ্যে উচ্চ আদালতে ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৯৪টি ও নিম্ন আদালতে ৩০ লাখ ৩২ হাজার ৬৫৬টি। মোট মামলার মধ্যে দেওয়ানি ১৪ লাখ ২৯ হাজার ৮৬১টি, ফৌজদারি ২০ লাখ ৪৮ হাজার ৬৭ হাজার এবং অন্যান্য ৯১ লাখ ৮২২টি।