১২ কোটি টাকা ফি: আইনজীবীর বিষয়ে তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট
ঊচ্চ আদালত

অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিতে হাইকোর্টের রুল

দেশের সব শহর ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় নিরাপদ এবং পরিকল্পিত উন্নয়ন নিশ্চিতে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ কেন নেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। অগ্নিদুর্ঘটনা এড়াতে এবং ভনে অননুমোদিত গোডাউন বা গুদামঘর, কারখানা বা শিল্পপ্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহার রোধ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই রুল দেওয়া হয়।

এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার (৭ এপ্রিল) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল দেন।

স্বরাষ্ট্রসচিব, গৃহায়ণ সচিব, পরিবেশ সচিব, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, তথ্য সচিব, শিল্প সচিব, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফিন্সের মহাপরিচালক, রাজউক চেয়ারম্যান, ডেসকো ও ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ২০ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী সেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রুলের বিষয়টি জানিয়ে সেগুফতা তাবসুম আহমেদ বলেন, অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে ওই আইন ও বিধিবিধানগুলো কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না রুলে তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২০ ফেব্রুয়ারি চকবাজারের আগুনের ঘটনায় ৭১ জন মারা যান। এর সূত্র ধরে শিল্পকারখানার জন্য নিরাপদ অঞ্চল গড়তে নীতি প্রণয়নে নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেড আই খান পান্না ২৫ ফেব্রুয়ারি রিটটি করেন। এরপর অগ্নিদুর্ঘটনা এড়াতে ঢাকা সিটি করপোরেশনসহ সব সিটি করপোরেশন অধ্যাদেশ, নগর উন্নয়ন আইন, ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড এবং অগ্নিপ্রতিরোধ ও নির্বাপণ আইনসহ সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিবিধান প্রয়োগে নির্দেশনা চেয়ে সম্পূরক আবেদনটি করেন রিট আবেদনকারী।

আদালতের রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না, মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম ও সেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম।