ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

মুসলিম নারীদের মসজিদে প্রবেশের আবেদন খতিয়ে দেখবে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট

মসজিদে নারীদের কোনও বাধা ছাড়াই প্রবেশের আবেদন খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় সুপ্রিমকোর্ট।

ইয়াসমিন জুবায়র আহমদ পেরিজাদ এবং জুবাইর আহমদ দম্পতির করা এক আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) আদালত এ কথা জানান। খবর এনডিটিভির।

গত সেপ্টেম্বরে কেরালার শবরীমালা মন্দিরে মেয়েদের প্রবেশ নিয়ে সুপ্রিমকোর্টের যুগান্তকারী রায়ের উদ্ধৃতি দিয়ে নারীদের মসজিদে প্রবেশের আবেদন করেন ওই দম্পতি। শবরীমালা মন্দিরে দীর্ঘদিন প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল।

আদালত জানান, আমরা শবরীমালা রায়ের কারণেই এই মামলাটির শুনানিতে রাজি হয়েছি। আমরা বিষয়টি দেখব। পাশাপাশি সেন্ট্রাল ওয়াকফ কাউন্সিল এবং অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডকেও বিষয়টি দেখতে নোটিশ দিয়েছেন আদালত।

আবেদনকারীদের আদালত জিজ্ঞাসা করেন, ‘ধর্ম পালন করতে গিয়ে কোনও মসজিদে কেউ কি তাদের বাধা দিয়েছিল?

আবেদনে ওই দম্পতি ইয়াসমিন জুবায়র আহমদ পেরিজাদ এবং জুবায়র আহমদ বলেছেন, তারা শবরীমালা মন্দির নিয়ে সুপ্রিমকোর্টের রায় দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছেন এবং তারা মসজিদে লিঙ্গের ভিত্তিতে হওয়া বৈষম্যের বিরোধী।

আবেদনে বলা হয়েছে নারীদের মসজিদে ঢুকতে না দেওয়াটা আইনত অন্যায় এবং সংবিধানের ১৪, ১৫, ২১, ২৫ ও ২৯ নম্বর ধারাকে অগ্রাহ্য করার সমান।

আবেদনে আরও বলা হয়েছে ‘ইসলাম ধর্মের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বা পবিত্র কোরআনে নারীদের মসজিদে যেতে নিষেধ করেননি। কোরআন কখনোই নারী পুরুষের মধ্যে পার্থক্য করেন না। সেখানে শুধু বিশ্বাসের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ইসলাম তার পরিবর্তে একটি ধর্মে পরিণত হয়েছে যারা নারীদের প্রতি শুধুমাত্র দমনমূলক আচরণ করে।’

উল্লেখ্য, গত বছর ২৮ সেপ্টেম্বর মুখ্য বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বে ৫ জন বিচারকের একটি বেঞ্চ শবরীমালা মন্দিরে নারীদের প্রবেশ নিয়ে একটি যুগান্তকারী রায় দিয়েছিল। তবে সেই রায়ের পরও মন্দিরে নারীদের প্রবেশ নিশ্চিত করা যায়নি। এ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটেছিল।