ব্যারিস্টার সারা হোসেন

শরিয়া আইন বৈষম্যমূলক হলে তা পরিবর্তন যোগ্য : ব্যারিস্টার সারা হোসেন

শরিয়া আইনে হাত না দিয়ে সম্পত্তিতে নারীর অধিকার রক্ষা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শের ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন বললেন, সংবিধান একটা দেশের সর্বোচ্চ আইন। সেখানে নারী পুরুষের সমানঅধিকার সমুন্নত রয়েছে। সেখানে শরিয়া আইন যদি বৈষম্যমূলক হয় তা অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে।

আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিবিসির সঙ্গে সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, শরিয়া আইনে হাত না দিয়ে, নতুন একটি আইন করা যেতে পারে। ‘অপশন’ আইন তৈরি করা যেতে পারে। শরিয়া আইনে এবং হিন্দু আইনে বিচার সম্ভব না হলে ‘অপশন’ আইনে বিচার হতে পারে। আমাদের দেশে কিছু ব্যক্তিগত আইন আছে, যেমন হিন্দুদের, মুসলামান, খ্রীষ্টানদের জন্য ভিন্ন আইন আছে। সেখানে বিচারক কিছু করতে পারেন না। শরিয়া আইনে নারী তার সম্পত্তির অধিকার থেকে অনেক সময় বঞ্চিত হন, যদি মুসলমান পরিবারে বাবা মা মারা যাওয়ার আগে সম্পত্তি ভাগ না করে যান। সম্পত্তি পেতে কষ্ট হয়। তাকে ভাইদের সদাচারনের ওপর নির্ভর করতে হয়। আর হিন্দু আইনে তো নারীরা কিছুই পান না।

সারা হোসেন আরো বলেন, এখানে বিচারকের ওপর সব দোষ দিয়ে কোনো লাভ হবে না। তারাতো কেনো আইন করেন না। আইন প্রণেতাদের উচিত নতুন আইন করা। যেখানে পারিবারিক নির্যাতন বন্ধ করার জন্য রাষ্ট্র আইন তৈরি করেছে। পারিবারিক আইন করতে পারলে, সম্পত্তিতে নারীর অধিকার রক্ষায়ও নতুন আইন করা যেতে পারবে না কেনো। করছে না ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য, কেউতো ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। তাই স্পর্শকাতর অনেক বিষয় এড়িয়ে চলা হয়। কেনো আইনে হাত না দিয়ে সংবিধানের সঙ্গে সমুন্নত রেখে একটি নতুন আইন করলে সমস্যা থাকে না।