আটককৃত ইমাম মোঃ মোজাম্মেল হক

ধর্ষণ মামলায় ইমাম কারাগারে

বহুদিন পর ধর্ষক ইমামকে পেয়ে ঘাপটি মেরে ধরলো ভিক্ষুক বাবা-মা। পরে জনতাসহ ইমামকে ধরে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ তাকে আটক করে সোমবার (২০ মে) আদালতে পাঠালে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।

আটককৃত ইমাম চাঁদপুর সদর উপজেলার দেবপুর জামে মসজিদের পেশ ইমাম ছিলেন। ধর্ষণের ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক ছিল। ধর্ষক মোঃ মোজাম্মেল হক শাহরাস্তি উপজেলার টামটা উত্তর ইউনিয়নের মুড়াগাঁও ভূঁইয়া বাড়ীর মোহাম্মদ জাফর আলী মিয়ার ছেলে।

ধর্ষিতা মেয়ের বাবা দেবপুর এলাকার অন্ধ হাসান মজুমদার। সে অন্ধ হওয়ায় স্ত্রীকে সাথে নিয়ে দিনের বেলায় বিভিন্ন বাজারে ভিক্ষা করতো।

থানা সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকেলে হাজীগঞ্জ বাজারে ইমাম কে চিনতে পেরে ঘাপটি মেরে ধরে মেয়েটির মা। তারই সাথে অন্ধ বাবাও ওই ইমাম কে ধরে ফেলে। তারপর বেরিয়ে আসলো ৩০ বছর বয়সী এই ইমামের যতোসব কূকির্ত।

মেয়েটির মা ফরিদা বেগম বাদী হয়ে রবিবার রাতে হাজীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, প্রতিবন্ধী এই পরিবারের সরলতার সুযোগে ইমাম মোজাম্মেল হক মেয়েকে ইংরেজি পড়ানোর কথা বলে সম্পর্ক করে নেয়। পরে মেয়েটিকে ভালো ভাবে পড়াবে বলে গত ১৭ই নভেম্বর হাজিগঞ্জ বাজারের মকিমাবাদ ৪নং ওয়ার্ডের হাজী ম্যানশনের একটি ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নেয়। মাত্র একদিন মেয়েটিকে পড়ানোর কথা বলে বাসায় নিয়ে আসে। এই বাসায় আসার পর যা ঘটলো। মেয়েটার সব খুলে তার মা বাবাকে বললো। মান-সম্মানের ভয়ে ওই পরিবারটি কাউকে কিছু না বলে গোপনে ধর্ষক ইমামকে খুঁজতে থাকে।

হাজীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেন রনি বলেন, ইমাম মোজাম্মেল মোবাইলে ওই মেয়েটির আপত্তিকর ছবি পাওয়া গেছে। মেয়েটিকে ইংরেজি পড়ানোর নাম করে ইমাম সরলতার সুযোগ নেয়। ঘটনার পর থেকে ধূর্ত ইমাম মোজাম্মেল পলাতক ছিল। অন্ধ বাবা ও মা ভিক্ষা করতে এসে তাকে চিনতে পেরে ধরে ফেলে।

তিনি আরো জানান, ওই ইমাম একটি বাসা ভাড়া নিয়ে মাত্র ৫০০ টাকা দিয়ে এক দিন ছিল ওই ফ্ল্যাটে। সোমবার (২০ মে) সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। চাঁদপুর বিজ্ঞ আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।