ধান কাটার পর মাড়াই করছেন পুলিশ সদস্যরা।

কৃষকের ধান কেটে দিল রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ

রংপুরে এবার কৃষকের পাশে এসে দাঁড়াল পুলিশ। মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবদুল আলীম মাহমুদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ একজন কৃষকের ১১ শতাংশ জমির ধান কাটাসহ মাড়াই করে দিয়েছে।

নগরের খটখটিয়া এলাকায় শনিবার (২৫ মে) কৃষক আবদুল মজিদের খেতের ধান কেটে দিয়েছে পুলিশ।

কৃষক আবদুল মজিদ বলেন, তাঁর নিজের আবাদি জমি নেই। অন্যের জমি বর্গা নিয়ে ধানসহ রবি ফসলের চাষাবাদ করেন। এবার বোরো মৌসুমেও তিনি ১১ শতাংশ জমিতে ধানের চাষ করেন। তবে কাটার সময় হলেও টাকার অভাবে খেত থেকে ধান ঘরে তুলতে পরাছিলেন না তিনি। একই সঙ্গে সামনে খারাপ আবহওয়ার কথা চিন্তা করে তাঁর এই ফসল নিয়ে অস্থির হয়ে উঠেছিলেন। এমনি একসময়ে তাঁকে উদ্ধারে এগিয়ে আসে পুলিশের একটি দল।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদের নেতৃত্বে ধান কাটা ও মাড়াইয়ে অংশ নেয় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আবু সুফিয়ান, উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান, অতিরিক্ত পুলিশ উপকমিশনার (হেডকোয়ার্টার) আবদুল্লাহ আল ফারুক, জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার শেখ মোহাম্মদ জিন্নাহ, সহকারী পুলিশ কমিশনার নাদিয়া জুঁই, আলতাফ হোসেনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ধান কাটছেন পুলিশ সদস্যরা।

পুলিশ কমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, কৃষকের পাকা ধান যেন নষ্ট না হয় সে জন্য পুলিশ নিজ তাড়না থেকে ধান কাটা কর্মসূচি শুরু করেছে। বোরো ধান কাটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত মেট্রোপলিটন পুলিশের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

কৃষক আবদুল মজিদ পুলিশের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, কৃষকেরা যাতে ধানের ন্যায্যমূল্য পান, যথাযথ কর্তৃপক্ষকে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।