অ্যাডভোকেট মাহফুজার রহমান ইলিয়াস

ভেজাল প্রতিরোধে প্রয়োজন বিশেষ ক্ষমতা আইনের বাস্তবায়ন

সম্প্রতি রাজধানীর কারওয়ান বাজারে রমজানে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানাতে গিয়ে র‍্যাবের মহাপরিচালক খাদ্যে ভেজাল দেয়ার জন্য মৃত্যু দণ্ডের বিধান রেখে আইন করার দাবী করেছেন। খাদ্য মন্ত্রীও সেই দাবীকে সমর্থন দিতে গিয়ে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন প্রণয়নের ব্যপারে আশ্বস্ত করেছেন। র‌্যাব এবং পুলিশ কর্তৃক মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ভেজাল বিরোধী অভিযান চালিয়ে অপরাধীদেরকে অর্থদণ্ড প্রদান করছে। অথচ বাংলাদেশে যে খাদ্যে ভেজাল দেয়ার অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান সম্বলিত আইন রয়েছে তা আইন প্রয়োগকারী র‌্যাব বা আইন প্রণয়নকারী খাদ্যমন্ত্রীসহ অনেক মন্ত্রীও অবগত নন। বিষয়টি নিয়ে লিখেছেন অ্যাডভোকেট মাহফুজার রহমান ইলিয়াস

খাদ্যে ভেজালের জন্য বা ভেজাল খাদ্য, পানীয়, ঔষধ বা প্রসাধনী উৎপাদন ও বিক্রির মত অপরাধ বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল রয়েছে। ভেজাল বিরোধী অভিযানে যে সকল অপরাধ উদঘাটিত হচ্ছে তার সবই বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ এর ২৫সি ধারায় বিচার করা সম্ভব। অজ্ঞাত কারণে এই আইনটি প্রয়োগ করা হচ্ছে না, এমনকি খাদ্যে ভেজালকারীদেরকে আইনে নির্ধারিত সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার কোন নজিরও চোখে পরছে না। মোবাইল কোর্টের ডামাডোলে এই অতি কঠোর আইনটি দৃষ্টির আড়ালে চলে যাচ্ছে। এরকম একটি কঠিন আইন থাকা সত্ত্বেও একই ধরণের অপরাধের জন্য নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ এর অন্তর্ভুক্ত করে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদন্ড ২০ লক্ষ টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে। এমনকি বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪এর ২৫সি ধারাকে অকার্যকর করার জন্য নিরাপদ খাদ্য আইনের ৬১ ধারা সংযুক্ত করে বলা হয়েছে “আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন কোন অপরাধ যদি অন্য কোন আইনে বিশেষ অপরাধ হিসাবে উচ্চতর দন্ডযোগ্য অপরাধ হইয়া থাকে, তাহা হইলে উহাকে এই আইনের অধীন নিরাপদ খাদ্য বিরোধী বিশেষ অপরাধ হিসাবে গণ্য করিয়া বিচারের জন্য গ্রহণের ক্ষেত্রে আইনত কোন বাধা থাকিবে না”

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্য প্রতিরোধের লক্ষে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এ পণ্যের মোড়ক, ইত্যাদি ব্যবহার না করা; মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করা; সেবার মূল্যের তালিকা সংরক্ষণ ও প্রদর্শন না করা; ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য, ঔষধ বা সেবা বিক্রয় করা; ভেজাল পণ্য বা ঔষধ বিক্রয় করা; খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ করা; অবৈধ প্রক্রিয়ায় পণ্য উৎপাদন বা প্রক্রিয়াকরণ করা; মিথ্যা বিজ্ঞাপন দ্বারা ক্রেতা সাধারণকে প্রতারিত করা; প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা; ওজনে কারচুপি করা; বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্রে কারচুপি করা; পরিমাপে কারচুপি করা; দৈর্ঘ্য পরিমাপের কার্যে ব্যবহৃত পরিমাপক ফিতা বা অন্য কিছুতে কারচুপি করা; পণ্যের নকল প্রস্তুত বা উৎপাদন করা; মেয়াদউত্তীর্ণ কোন পণ্য বা ঔষধ বিক্রয় করা; সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্য করা; অবহেলা, ইত্যাদি দ্বারা সেবা গ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য, জীবনহানি, ইত্যাদি ঘটানো; মিথ্যা বা হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করা ইত্যাদি অপরাধসমূহের সর্বোচ্চ শাস্তি ৩ বছর কারাদন্ড বা ২ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড বা উভয়দন্ড দেওয়ার বিধান করা হয়। এ আইনে মামলা করার এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মচারীদের উপর। কিন্তু আজ পর্যন্ত একটি মামলাও তারা করেনি বরং তাদের দপ্তরে অভিযোগ নিয়ে নিজেরাই কিছু জরিমানা করে ছেড়ে দেয়। ফলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্য প্রতিরোধের উদ্দেশ্য আইনের পাতাই রয়ে গেছে।

বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতির যথাযথ অনুশীলনের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিতকরণে খাদ্য উৎপাদন, আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ, সরবরাহ, বিপণন ও বিক্রয় সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সমন্বয়ের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ এবং তদ্লক্ষ্যে একটি দক্ষ ও কার্যকর কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ এর ৬৬ ধারায় ফুড ইন্সপেক্টরকে খাদ্য আদালতে মামলা দায়েরের ক্ষমতা প্রদান করা হলেও কালেভদ্রেও তাদেরকে আদালত প্রাঙ্গণে দেখা যায় না, তবে মোবাইল কোর্ট অ্যাকশানে নেমে গেছে এবং তাদেরকে মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক অভিযানের খবর মিডিয়াতে দেখা যায়। নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ আইনে দশম অধ্যায়ের অধীনে অপরাধ সমূহ বিচারের জন্য ফৌজদারী কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সুপ্রিম কোর্টের সহিত পরামর্শক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট বা ক্ষেত্রমতে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এর সমন্বয়ে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত গঠনের বিধান করা হলেও, একই বিধানকে অকার্যকর করার জন্য একই আইনের ৭৫ ধারা অন্তর্ভুক্ত করে রাখা হয়েছে। যাতে উল্লেখ আছে “এই আইনে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন অপরাধ সমূহ, যে ক্ষেত্রে যতটুকু প্রযোজ্য, মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ অনুসারে বিচার্য হইবে”। আবার দন্ড আরোপের সীমাবদ্ধতা নির্ধারণ করতে গিয়ে মোবাইল কোর্ট আইনে ৮ ধারায় বলা হয়েছে “এই আইনের অধীন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করিয়া দন্ড আরোপ করিবার ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্ট আইনে যে দন্ডই নির্ধারিত থাকুক না কেন, দুই বছর এর অধিক কারাদন্ড এই আইনের অধীন আরোপ করা যাইবে না”। ফলে বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ এর ২৫সি ধারা বা খাদ্য আদালত বিস্মৃতির অতল তলে তলিয়ে যাচ্ছে। অথচ র‌্যাবের মহাপরিচালক ও সরকারের কর্তাব্যক্তিদের মধ্যে অনেকের আকুতি বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ এর ২৫সি ধারা এবং খাদ্য আদালত কার্যকর করার প্রয়োজনীয়তাকেই মনে করিয়ে দিচ্ছে। যদিও এই কাঙ্খিত আকুতি সেই ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ সি ধারায় বিদ্যমান(১) যদি কেহ-

  • কোন খাদ্য বা পানীয় দ্রব্য ভেজাল দিয়া উহা ভক্ষণ বা পান করিবার অযোগ্য করে ও তাহা খাদ্য পানীয় হিসেবে বিক্রয় করিতে চায়, অথবা উহা খাদ্য বা পানীয় হিসাবে বিক্রয় হইবে বলিয়া জানা সত্বেও অনুরুপ ভেজাল দেয়; অথবা
  • কোন দ্রব্য নষ্ট হইয়াছে বা নষ্ট করা হইয়াছে বা খাদ্য পানীয় হিসাবে অযোগ্য হইয়াছে বলিয়া জানা সত্বেও অনুরুপ কোন দ্রব্য বিক্রয় করে বা বিক্রয়ের জন্য উপস্থিত করে; অথবা
  • কোন ঔষধ বা চিকিৎসার জন্য ব্যবহার্য কোন ভেজাল দিয়া উহার বিক্রয় হ্রাস করে, গুণ পরিবর্তন করে অথবা উহার এই উদ্দেশ্য নষ্ট করে যে, উহা খাঁটি হিসাবে বিক্রয় হইবে জানে অথবা তাহা বিশ্বাস করার কারণ আছে; অথবা
  • কোন ঔষধ বা চিকিৎসার জন্য ব্যবহার্য দ্রব্যের ক্রিয়া লঘব বা গুণ পরিবর্তনের জন্য বা উহা নষ্ট করিবার জন্য ভেজাল দেওয়া হইয়াছে বলিয়া জানা সত্বেও বিশ্বাস করিবার কারণ থাকা সত্ত্বেও উহা বিক্রয় করে, বিক্রয়ের জন্য উপস্থিত করে, বা উহা খাঁটি হিসেবে কোন ঔষধালয় হইতে বিতরণ করে, অথবা যে ব্যক্তি উহা ব্যবহার করিতে দেয়; অথবা
  • কোন ঔষধ বা চিকিৎসা সামগ্রী জ্ঞাতসারে অন্য কোন ঔষধ বা চিকিৎসা সামগ্রী হিসাবে বিক্রয় করে, বা কোন ঔষধালয় হইতে বিতরণ করে;
    তবে সেই ব্যক্তি মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদন্ড অথবা চোদ্দ বৎসর পর্যন্ত মেয়াদের সশ্রম কারাদন্ডে এবং তদুপরি অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হইবে।

২। যদি কেহ-

  • মাথার তৈল, গোসলের সাবান বা অন্য কোন প্রসাধন দ্রব্যে এমনভাবে ভেজাল দেয় যাহাতে উহা চুল, ত্বক, গায়ের রং বা দেহের কোন অংশের পক্ষে ক্ষতিকর হয় এবং তাহা প্রসাধনী হিসেবে বিক্রয় করিতে চায়, অথবা প্রসাধনী হিসেবে উহা বিক্রয় হইবে বলিয়া জানা থাকে; অথবা
  • মাথার তৈল, গোসলের সাবান বা অন্য কোন প্রসাধন দ্রব্য এমনভাবে ভেজাল করা হইয়াছে যাহাতে উহা চুল, ত্বক, গায়ের রং বা দেহের কোন অংশের পক্ষে ক্ষতিকর হইয়া পড়িয়াছে তাহা সত্ত্বেও উক্ত দ্রব্য বিক্রয় করে বা বিক্রয়ের জন্য উপস্থিত করে;
    তবে সেই ব্যক্তি পাঁচ বৎসর পর্যন্ত মেয়াদের সশ্রম কারাদন্ড এবং তদুপরি অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হইবে।

এখন প্রশ্ন হল এরকম দ্বন্দ্ব মূলক মিশ্র আইন কিভাবে হয়? বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ এর ২৫সি ধারার মত কঠিন আইন প্রচলিত থাকা সত্ত্বেও কেন নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ প্রণয়নের প্রয়োজন কেন হলো?

নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এটি একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গঠন মাত্র অপরাধ নিরোধ সম্পর্কিত মিশ্র আইন। খাদ্যে ভেজাল নিয়ন্ত্রণ এবং খাদ্য বাজার পর্যবেক্ষণের জন্য এসকল প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর প্রয়োজন আছে। তবে আদালত গঠন এবং অপরাধের বিচার অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে আইনটির খসড়া ও প্রণয়নের সময় আরো সাবধানতা অবলম্বন করা হলে একই ধরণের অপরাধের বিচার এবং সাজা প্রদানের ক্ষেত্রে এধরণের দ্বন্দ্বমূলক মিশ্রিত আইনের ধারা এড়ানো যেতো। এই ধরণের আইন প্রণয়নের সময় আইন গবেষকদের সংশ্লিষ্ট আইন সম্পর্কে গবেষণা থাকলে নিশ্চয়ই বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ এর ২৫সি ধারার বিষয়টি তাদের নজরে আসতো। বিচার এবং আদালত বা ট্রাইবুনাল সম্পর্কে অনভিজ্ঞতা ও বিচক্ষনতার অভাবে আইনের খসরা প্রণয়নের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে লক্ষণীয়। আইন গবেষকদের এ বিষয়ে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তারা এ বিষয়ে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করেছেন বলে মনে হয় না। খাদ্য আইনের ক্ষেত্রে ওভার রাইডিং এর পরিবর্তে বরং বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ এর ২৫সি ধারার মতো কঠোর আইনকে রক্ষার জন্য সেভিং ক্লোজ রাখার প্রয়োজন ছিলো। কারণ জনমত পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, খাদ্যে ভেজাল দেয়ার মতো গুরুতর অপরাধ বিচারের ক্ষেত্রে জনগণ বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ এর ২৫সি ধারার মতো কঠোর আইন চায়, নিরাপদ খাদ্য আইনের মতো মিশ্র বা দূর্বল আইন নয়। অন্যদিকে এধরণের অপরাধের ক্ষেত্রে মোবাইল কোর্টের বিধান রাখার বিষয়টি কায়েমি স্বার্থ গোষ্ঠীর নিছক আবদার রাখা ছাড়া আর কিছুই নয় বলে মনে হয়। তা না হলে যে সকল অপরাধের ক্ষেত্রে মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন অথবা ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে সেখানে মোবাইল কোর্টের এখতিয়ার রাখার বিষয়টি বোধগম্য নয়। কেননা মোবাইল কোর্ট আইনে ৮ ধারায় বলা হয়েছে “এই আইনের অধীন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করিয়া দন্ড আরোপ করিবার ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্ট আইনে যে দন্ডই নির্ধারিত থাকুক না কেন, দুই বছর এর অধিক কারাদন্ড এই আইনের অধীন আরোপ করা যাইবে না”।

সার্বিক পর্যালোচনায় বলা যায়, আইনে এরকম অশুভ ওভার রাইডিং এড়াতে হলে আইন প্রণয়নকারীগণের যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, আইন গবেষকদের দূরদৃষ্টি, পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা ও সক্ষমতা বাড়াতে হবে! কায়েমি স্বার্থগোষ্ঠীর আবদার উপেক্ষা করতে হবে। তা না হলে অনভিপ্রেত মোবাইল কোর্টের মত parallel judiciary গড়ে উঠবে যা একটি স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ বিচার বিভাগের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে।

লেখক: আইনজীবী ও কর্ণধার মাহফুজ লিগ্যাল সলুশন্স। ই-মেইল: iliyashmr@gmail.com