নিহত অ্যাডভোকেট আবিদা সুলতানা এবং আটক তানভীর আহমদ

নারী আইনজীবী হত্যায় মা ও স্ত্রীসহ মসজিদের ইমাম রিমান্ডে

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় খুন হওয়া নারী আইনজীবী আবিদা সুলতানা হত্যা মামলায় মসজিদের ইমাম তানভীর আহমদকে দশ দিনের এবং তার স্ত্রী ও মাকে আট দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জসীম উদ্দিনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২৮ মে) বড়লেখা উপজেলায় জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম হরিদাশ কুমার এ আদেশ দেন।

পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জসিম উদ্দিন হত্যার কারণ সম্পর্কে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে গাছ কাটা,জমি-জমা নিয়ে অভ্যন্তরীণ বিবাদ থেকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। তদন্তের স্বার্থে সবকিছু এখন বলা যাবে না। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার মূল কারণ জানা সম্ভব হবে।

এদিকে, অ্যাডভোকেট আবিদা সুলতানার ব্যবহৃত মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে মসজিদের ইমাম তানভীর আহমদের ব্যাগ থেকে। শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ সোমবার (২৭ মে) মোবাইলটি উদ্ধার করে। তানভীর ওই আইনজীবীর বাবার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস ছালেক বলেন,আবিদা সুলতানা হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা মসজিদের ইমাম তানভীরকে সোমবার দুপুরে উপজেলার বরুণা মাদ্রাসার পাশ থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর মাদ্রাসায় থাকা তার ব্যাগ থেকে আবিদার মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত রোববার (২৬ মে) রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির মাধবগুল গ্রামের মৃত আব্দুল কাইয়ুমের মেয়ে মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য আবিদা সুলতানার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রোববার বেলা ১২টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে যেকোনো সময় তাকে হত্যা করে ঘরে বন্দি করে রাখা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে ঘটনার পর আবিদার পৈতৃক বাড়িতে থাকা ভাড়াটিয়া তানভীর আহমদ (৩০) পালিয়ে যান। তিনি স্থানীয় একটি মসজিদে ইমামতি করতেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সোমবার (২৭ মে) দুপুরে শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুর ইউপির বরুনা এলাকা থেকে তানভীরকে আটক করে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ। এর আগে তানভীরের মা ও স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ।