পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান
পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান

অবশেষে ডিআইজি মিজান সাময়িক বরখাস্ত

পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। তাঁকে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ডিআইজি মিজানের সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। বরখাস্তের পর পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে তাঁর (ডিআইজি মিজান) বিরুদ্দে বিভাগীয় মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলেও জানা গেছে।

সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ অনুযায়ী তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে তিনি প্রচলিত বিধি অনুযায়ী খোরাকি ভাতা পাবেন।

এর আগে, গত সোমবার (২৪ জুন) তিন কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় মিজানুর রহমান, তাঁর স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগনে পুলিশের কোতোয়ালি থানার এসআই মো. মাহমুদুল হাসানকে আসামি করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মিজানুরের বিরুদ্ধে এক সংবাদ পাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার পর তাঁকে সাময়িক বরখাস্তের প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছিল।

ডিআইজি মিজানুর ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করানোর অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এ ছাড়া এক সংবাদ পাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়। নারী নির্যাতনের অভিযোগে গত বছরের জানুয়ারির শুরুর দিকে তাঁকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।

দুদক কর্মকর্তাকে ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি সামনে এলে তড়িঘড়ি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিজানকে সাময়িক বরখাস্তের একটি প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠায়। মিজানের ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে পুলিশ অধিদপ্তর। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ প্রশাসন।