হাইকোর্ট এবং ডিআইজি মিজান (ইনসেটে)
হাইকোর্ট এবং ডিআইজি মিজান (ইনসেটে)

পুলিশ বিভাগের ইমেজ ধ্বংস করেছেন ডিআইজি মিজান : হাইকোর্ট

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান পুলিশ বিভাগের ইমেজ ধ্বংস করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সোমবার (১ জুলাই) হাইকোর্টে আগাম জামিনের জন্য গেলে আদালত এ মন্তব্য করেন।

হাইকোর্ট বলেন, তিনি (ডিআইজি মিজান) প্রকাশ্যে ঘুষ লেনদেনের বিষয়ে টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দিয়ে পুলিশ বিভাগের ইমেজ ধ্বংস করেছেন। যেটা পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে কাম্য নয়।

এ সময় আদালত তাকে তাৎক্ষণিক পুলিশের হাতে তুলে দেন এবং ডিআইজি মিজানকে কাস্টডিতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ ডিআইজি মিজানের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী ও আমিনুল ইসলাম।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের মামলায় গত রোববার হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন মিজান। ওই সম্পদের তদন্তকালে দুদক কর্মকর্তাকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেওয়ার কথা নিজে গণমাধ্যমে প্রকাশ করে সম্প্রতি নতুন করে আলোচনায় আসেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। ওই মামলার অপর আসামি মিজানুরের ভাগনে পুলিশের কোতোয়ালি থানার এসআই মো. মাহমুদুল হাসানও আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টে পৃথক আবেদন করেন। আবেদন দুটি গতকাল শুনানির জন্য ওঠে। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট মিজানুরের ক্ষেত্রে ওই আদেশ দেন। আর মাহমুদুল হাসানকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৪ জুন ৩ কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় মিজানুর রহমান, তাঁর স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগনে মাহমুদুল হাসানকে আসামি করা হয়।

মিজানুর ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিয়ে গোপন করতে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দ্বিতীয় স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করানোর অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এ ছাড়া এক সংবাদপাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়। নারী নির্যাতনের অভিযোগে গত বছরের জানুয়ারির শুরুর দিকে তাঁকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। গত ২৫ জুন তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।