‘রাষ্ট্র বনাম জাকারিয়া পিন্টু ও অন্যান্য’ মামলা: আগাম জামিনে আত্মসমর্পণ প্রসঙ্গ
উচ্চ আদালত

মাদক মামলার বিচারে ট্রাইব্যুনাল গঠন না করায় দুই সচিবের ব্যাখ্যা তলব

নতুন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের বিধান অনুসারে মাদকদ্রব্য অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল স্থাপন হয়েছে কি না, ট্রাইব্যুনাল স্থাপন না হলে এ-সংক্রান্ত অপরাধের বিচারের জন্য জেলা জজ বা দায়রা জজকে দায়িত্ব দেওয়ার গেজেট হয়েছে কি না, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

মাদক মামলার এক আসামির জামিন শুনানিকালে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (৮ জুলাই) এ আদেশ দেন।

আগামী ২৪ জুলাইয়ের মধ্যে স্বরাষ্ট্রসচিব ও আইনসচিবকে এ বিষয়ে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা জানাতে বলা হয়েছে।

১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন রদ করে গত বছর ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮’ শিরোনামে নতুন আইন করে সরকার। আইনটি গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর কার্যকর হয়। এই আইনের ৪৪ ধারায় এ-সংক্রান্ত অপরাধ বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া ট্রাইব্যুনাল স্থাপন না হওয়া পর্যন্ত সরকার গেজেটে প্রজ্ঞাপন দিয়ে যেকোনো জেলা জজ বা দায়রা জজকে তাঁর নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে ট্রাইব্যুনালের দায়িত্ব দিতে পারবেন বলা আছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বংশাল থানায় করা এক মামলায় মাসুদুল হক মাসুদ নামের এক আসামির জামিন আবেদনের শুনানিতে আইনের ওই বিধানের বিষয়টি নজরে এলে হাইকোর্ট ওই আদেশ দেন। চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি নতুন ওই আইনে মাসুদের বিরুদ্ধে বংশাল থানায় মামলাটি করে পুলিশ।

আদালতে জামিন আবেদনকারী মাসুদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আল ফয়সাল সিদ্দিকী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুসরাত জাহান।

পরে আইনজীবী ফয়সাল সিদ্দিকী গণমাধ্যমকে বলেন, ওই মামলায় ২০ ফেব্রুয়ারি অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এরপর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ অভিযোগ আমলে নিয়ে মামলাটি বিচারের জন্য যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালত-৩-এ পাঠান, যা আইনে সমর্থন করে না। হাইকোর্ট রুল দিয়ে ওই মামলায় মাসুদকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন।