অগ্রক্রয় কি, কেন, কিভাবে?
আইন-আদালত (প্রতীকী ছবি)

আইনজীবী মুহুরিদের সুরক্ষায় নতুন আইন আসছে

আইনজীবী মুহুরিদের (ল’ ক্লার্ক) সুরক্ষা দিতে নতুন আইন হচ্ছে। এজন্য ‘ল’ক্লার্ক কাউন্সিল আইন ২০১৯’ এর খসড়া তৈরি করেছে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ। নতুন আইনের অনুমোদন মিললে মুহুরিদের জন্য একটি কাউন্সিল গঠন করা হবে। এ কাউন্সিলের মাধ্যমে ল’ক্লার্কদের তালিকাভুক্তি, তালিকাভুক্তির মেয়াদ ও নবায়ন, তালিকা থেকে নাম বাদ দেয়াসহ সব কাজ করতে পারবেন মুহুরিরা।

মূলত আইনজীবী মুহুরিদের শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে নতুন আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। খসড়া আইনে ল’ক্লার্ক কাউন্সিল নামে একটি কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। কাউন্সিলের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকবে এবং দেশের সব জেলায় এ কাউন্সিলের কার্যালয় থাকার কথা বলা হয়েছে। কাউন্সিল গঠন সর্ম্পকে খসড়া আইনে বলা হয়েছে, একজন সভাপতি, একজন সহসভাপতি, একজন সাধারণ সম্পাদক, একজন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, একজন কোষাধ্যক্ষ ও দশ জন সদস্যের সমন্বয়ে কাউন্সিল গঠিত হবে।

বাংলাদেশ বার কাউন্সিল মনোনীত তার কোন সদস্য কাউন্সিলের সভাপতি হবেন। তবে কাউন্সিলের সহসভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ ও সদস্যরা ল’ক্লার্কদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবেন। সহসভাপতি, একজন সাধারণ সম্পাদক, একজন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, একজন কোষাধ্যক্ষ ও সদস্য নির্বাচন পদ্ধতি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হবে। মেয়াদ হবে কাউন্সিলের প্রথম সভার তারিখ থেকে তিন বছর। কাউন্সিলের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিন আগে নির্বাচন করতে হবে। তবে কাউন্সিলের প্রথম সভা না হওয়া পর্যন্ত কাউন্সিলের সদস্যরা নিজ পদে বহাল থাকবেন।

খসড়া আইনে ল’ক্লার্কদের কার্যাবলী সর্ম্পকে বলা হয়েছে, ল’ক্লার্কদের তালিকাভূক্তি, তালিকাভূক্তির সনদপত্র প্রদান, প্রশিক্ষণ, মান উন্নয়ন, তহবিল সংগ্রহ ও বিনিয়োগের ব্যবস্থা এবং সাময়িক পত্রিকা প্রকাশসহ বিভিন্ন কাজ করবে।

কাউন্সিলের সভা সর্ম্পকে খসড়া আইনে বলা হয়েছে, সভাপতি কর্তৃক নির্ধারিত স্থান, তারিখ ও সময়ে কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি চার মাসে কাউন্সিলের কমপক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। কাউন্সিলের সভায় কোরামের জন্য কাউন্সিলের তিন ভাগের দুই ভাগ সদস্যের উপস্থিতি দরকার হবে। কাউন্সিল তার সদস্যদের সমন্বয়ে পাঁচটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

ল’ক্লার্ক হিসেবে তালিকাভূক্তির যোগ্যতা ও অযোগ্যতায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নাগরিক, উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, সুস্থ মস্তিষ্ক সম্পন্ন মানুষ এবং আবেদনের তারিখে তার বয়স ১৮ বছর হলে ল’ক্লার্ক হিসেবে তালিকাভূক্তির যোগ্য হবেন। এছাড়া নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে অভিযুক্ত কোন ব্যক্তি, সরকারি, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান থেকে চাকুরিচ্যুত কোনো ব্যক্তি ল’ক্লার্ক হিসেবে তালিকাভূক্তির যোগ্য হবেন না।

খসড়া আইনে ল’ক্লার্ক তালিকাভূক্তির পদ্ধতি, তালিকাভূক্তির মেয়াদ ও নবায়ন, ল’ক্লার্কের কাজ করার অধিকার, কর্মস্থল পরিবর্তন, তালিকা থেকে নাম অপসারন ও আচরনবিধিসহ বিভিন্ন ধারা রয়েছে।

লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, খসড়া আইনটি এখন যাচাই বাছাই চলছে। সহসাই এটি চূড়ান্ত করে মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুমোদনের জন্য উঠবে। সূত্র- মানবজমিন