বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট

সর্বনিম্ন শাস্তির চেয়ে কম সাজা দেওয়ায় বিচারকের ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট

আইন ভেঙে অস্ত্র মামলার এক আসামিকে সর্বনিম্ন শাস্তির চেয়ে কম সাজা দেওয়ায় নাটোরের তিন নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিনের কাছে ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি এএনএম বশির উল্লাহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) এই আদেশ দেন।

আগামী ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে তাকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। ওই দিন এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছেন আদালত।

আদালতে বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. তাহেরুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আমিনুল ইসলাম ও আনোয়ারা শাহজাহান। তাদের সহায়তা করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ফাতেমা রশিদ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৭ জুলাই পিস্তলসহ আটক হন মো. রাজ্জাক। একইদিন তার বিরুদ্ধে নাটোর সদর থানায় মামলা হয়। তার বাড়ি সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামে। রাজ্জাকের বাবার নাম মো. লোকমান ভুঁইয়া। এই মামলায় বিচার শেষে গত ২৮ মার্চ রাজ্জাককে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন নাটোরের তিন নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিন। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানিকালে আইন ভাঙার বিষয়টি হাইকোর্ট বিভাগের নজরে আসে বিষয়টি।

১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯ (ক) ধারায় এই সাজা দেওয়া হয়। ১৯ (ক) ধারায় নির্ধারিত সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং সর্বনিম্ন সাজা ১০ বছরের কারাদণ্ড।