শাহবাগ চত্বরে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন গৌরব-৭১ এর বিক্ষোভ সমাবেশ

মশা না তাড়ালে মেয়রদের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান

ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে মশা মারতে না পারলে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রকে দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন গৌরব-৭১।

রাজধানীর শাহবাগ চত্বরে গতকাল শুক্রবার (১২ জুলাই) আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সংগঠনটি এ দাবি জানায়।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, আপনারা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কথা বলেন। আমি তো আমার ঘর পরিষ্কার রাখি। কিন্তু আপনারা নর্দমা পরিষ্কার করেছেন কি? নর্দমা থেকে যে ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে, সেদিকে খেয়াল রাখছেন কি?’

এছাড়া ডেঙ্গুতে কতজন মারা গেছে, কতজন অসুস্থ আছে তার কোনো বিবৃতি মেয়ররা দেননি উল্লেখ করে বলেন, ‘আপনাদের দায়িত্বহীনতার কারণে মানুষের জীবনহানি হলে জনগণ তা মেনে নেবে না। আপনারা দুই মেয়র এ বিষয়টি নিয়ে বসেন। আর ডেঙ্গু প্রতিরোধে করনীয় ঠিক করেন। তা না হলে জনগণ আপনাদের ছেড়ে দেবে না।

গাজী টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, ‘মেয়রদের যত কাজই থাকুক, এখন তাদের শুধু একটা কাজ, তা হলো ‘মশা মারা’। যদি এটি ঠিতমত করতে না পারেন তাহলে তাদের উচিত ব্যর্থতার দায় নিয়ে দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়া।’

সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, শহর এখন মশার রাজ্যে পরিণত হয়েছে। সিটি করপোরেশন এ বিষয়টি অস্বীকার করে যাচ্ছে। ডেঙ্গু যখন একটু একটু করে বাড়ছে, গণমাধ্যম যখন রিপোর্ট করতে শুরু করেছে, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন যখন বিষয়টি সিটি করপোরেশনে জানাচ্ছে, তখন আমরা দেখেছি তারা বিষয়টি অস্বীকার করছে।

বিক্ষোভ অংশগ্রহণকারীরা বলেন, প্রতিদিন ১৫৫ জন রোগী হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছেন। আমরা যারা সেচ্ছায় রক্তদানে কাজ করি গত এক সপ্তাহ চরম হিমশিম খাচ্ছি।

তারা আরও বলেন, মেয়ররা বলছেন মশা ওষুধের চেয়ে শক্তিশালী। তাহলে আপনারা দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করুন। আমাদের অর্থমন্ত্রী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সংসদে এসেছেন। তার বাজেট বক্তৃতা প্রধানমন্ত্রী পড়ে দিয়েছিলেন। তারপরও আপনাদের টনক নড়েনি। আপনারা এখনো ডেঙ্গু আক্রান্ত হননি এটা আমাদের জন্য দুঃখজনক। তাহলে বুঝতেন এটার ভয়াবহতা কি।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক বাপ্পাদিত্য বসু, ছাত্রনেতা কামরুজ্জামান সুইট, ইঞ্জিনিয়ার শাকিল আহমেদ, আইনজীবী রাশিদা চৌধুরী নিলু, মানবাধিকার কর্মী পদ্মাবতী দেবী, ডা. শাহাদাত হোসেন নিপু প্রমুখ।