পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান
পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান

ডিআইজি মিজানকে কারা ফটকে জিজ্ঞাসাবাদ

ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ অনুসন্ধানে সাময়িক বরখাস্ত পুলিশের বিতর্কিত ডিআইজি মিজানুর রহমানকে কেরানীগঞ্জে কারা ফটকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

আজ সোমবার (১৫ জুলাই) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুব ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগ অনুসন্ধানে মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ১০ জুলাই আদালতে আবেদন জানান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েস ১৫ জুলাই জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

গত ৯ জুন মিজান ঘুষ লেনদেনের অডিও প্রকাশ করে দাবি করেন দুর্নীতির মামলা থেকে বাঁচতে দুদকের বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছেন। এ ঘটনা অনুসন্ধানে গঠিত ৩ সদস্যের কমিটির প্রধান হলেন দুদক পরিচালক ফানাফিল্যা।

দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর পরিচালক মনজুর মোর্শেদ বাদী হয়ে গত ২৪ জুন মিজান ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা (মামলা নম্বর-১) দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ভাগ্নে পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসান ও ছোটভাই মাহবুবুর রহমান। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকা অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার ৪২১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।

গত ১ জুলাই বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্টে বেঞ্চ মিজানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করেন। ২ জুলাই পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করলে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক কে এস ইমরুল কায়েস তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

২০১৮ সালে শুরুর দিকে ডিআইজি মিজানের সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর মিজানকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়। আর সর্বশেষ গত ২৫ জুন তাকে বরখাস্ত করা হয়।