অ্যালায়েন্স কর্তৃক নর্থ আমেরিকান ক্রেতা জোটের সম্পর্ক ছিন্ন প্রক্রিয়া অবৈধ

অ্যালায়েন্স কর্তৃক নর্থ আমেরিকান ক্রেতা জোটের সঙ্গে বাংলাদেশি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি মালিকদের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রক্রিয়া অবৈধ বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আদালত অ্যালায়েন্সের আওতাভুক্ত বিদেশি ক্রেতারা পোশাক কারখানার সাথে কীভাবে ব্যবসায়িক সম্পর্ক শেষ করবে তা নির্ধারণ করতে বিজিএমইএ-এর বা সরকারের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

বিএইচআইএস অ্যাপারেলস লিমিটেডের এক আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ সোমবার (২২ জুলাই) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম।

পরে তিনি ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ গণমাধ্যমকে জানান, ‘রানা প্লাজার ঘটনার পর গার্মেন্টসের নর্থ আমেরিকান ক্রেতা জোট ২০১৩ সালে বাংলাদেশে অ্যালায়েন্স নামের একটি অনুসন্ধানী ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে। এর দায়িত্ব বাংলাদেশের গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির কর্মপরিকল্পনা, আগুন এবং ভবনের নিরাপত্তা পরিদর্শন, কর্মী প্রশিক্ষণ এবং কর্মীদের ক্ষমতায়নের ওপর নিবদ্ধ ছিল। ইউরোপীয় ক্রেতা জোট অ্যাকর্ডের মতো অ্যালায়েন্স হলো গার্মেন্টসের নর্থ আমেরিকান ক্রেতা জোটদের প্রতিষ্ঠান।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার অ্যালায়েন্সকে বাংলাদেশে আসার সুযোগ দিয়েছিল রানা প্লাজার মত ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হওয়ার লক্ষ্যে। কিন্তু তারা নিজেদের মতো করে গার্মেন্টসগুলোর বিরুদ্ধে খবরদারি এবং জোটের সঙ্গে অনেক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করে, যা অবৈধ। তবুও তারা নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিএইচআইএস অ্যাপারেলস লিমিটেড প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনও রকম অনুসন্ধান না চালিয়ে অবৈধভাবে জোটের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। এতে প্রতিষ্ঠানটি সাংঘাতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাদের আমেরিকান সব ক্রেতা মুখ ফিরিয়ে নেয়। এরপর তারা হাইকোর্টে মামলা করে। সে মামলার শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করলেন এবং জোটের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে গার্মেন্টসের নতুন নিরাপত্তা বিধি নির্ণয় করতে বলেন।’