অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী

বাংলাদেশের দ্রুত অগ্রগতির মূলে রয়েছে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন: স্পিকার

মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিতকরণে বর্তমান সরকার নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে বলে জানিয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘মা ও শিশুর পুষ্টি এবং সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে সুস্থ জাতি গঠন সম্ভব। আর বাংলাদেশের অর্থনীতির দ্রুতগতিতে অগ্রসর হওয়ার মূলে রয়েছে তৃণমূল পর্যায়ের নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন।’

আজ বুধবার (২৪ জুলাই) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের (বিআইসিসি) উইন্ডি টাউন হলে মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদফতর আয়োজিত মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

স্পিকার বলেন, এই কর্মসূচির আওতায় ৯টি সেবাকে একীভূত করে সুবিধাভোগী মায়েদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে একটি সুস্থ জাতি গঠনে সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখবে। মা ও শিশুর পুষ্টি ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে সুস্থ জাতি গঠনে মা ও শিশুর বিকাশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তিনি আরও বলেন, মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির সুবিধাভোগী মা ও শিশু। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মায়েদের কাছে এই কর্মসূচির বার্তা পৌঁছাতে হবে। প্রচারণা বৃদ্ধি করতে হবে, তাদের সচেতন করতে হবে। তাদের জানাতে হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা ও তার গর্ভের শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করতে এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণ নিশ্চিত করতে সরকার সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বৃদ্ধি করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব (সংস্কার ও সমন্বয়) শেখ মুজিবুর রহমান, জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ রিচার্ড রাগান এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহার বক্তব্য রাখেন। এছাড়া মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক বদরুন নেছা এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আইনুল কবীর প্রকল্পের কার্যক্রমের ভিশন ও রূপরেখার ওপর পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন। কর্মসূচির প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশে বিশ্ব খাদ্য সংস্থার হেড অব প্রোগ্রাম রেজাউল করিম।

পরে স্পিকার মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদফতরের ‘মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির’ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও লোগো উন্মোচন করেন। উল্লেখ্য, মা ও শিশু সহায়তা কার্যক্রম বাস্তবায়নে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা করছে জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (ডব্লিউএফও)।