ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন

আরও অনেক বিচারপতির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আছে: ব্যারিস্টার খোকন

সদ্য দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা তিন বিচারপতি ছাড়াও হাইকোর্টের আরও অনেক বিচারপতির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি তোলেন।

ব্যারিস্টার খোকন বলেন, ‘কেবল তিন বিচারপতিই নয়, আরও অনেক বিচারপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে বিষয়টি প্রধান বিচারপতিকে অবহিত করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রকাশ্যে দুর্নীতি করে। আইনজীবীরা তাদের কাছে প্রতিদিন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বিচারপ্রার্থীদের ন্যায় বিচার নিশ্চিত ও বিচারাঙ্গণের ভাবমূর্তি রক্ষায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।’

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘আমরা সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করার বিষয়টিকে স্বাগত জানাই। তবে এ তদন্ত কারা করছে, তা স্পষ্ট করারও দাবি জানাচ্ছি।’

খোকন বলেন, ‘ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের পর সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল আবারও পুনরুজ্জীবিত হয়েছে। এখন এটির কার্যক্রম কি অবস্থায় রয়েছে আমরা জানি না। তাই এটি স্পষ্ট করা দরকার।’

সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক আরও বলেন, ‘বিচার বিভাগে আরও অনেকে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। এ বিষয়ে এর আগে প্রধান বিচারপতিকে বারের পক্ষ থেকে অবহিত করেছি। তিনি এ বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত কাজ অব্যাহত রাখাবেন বলে আশা করি।’

এর আগে খোকন নবম সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় দশম সংসদের সদস্যদের শপথ নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা রিট করেছিলাম। কিন্তু হাইকোর্ট রিটটি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন। এখন হাইকোর্টের আদেশ হাতে পেয়ে আমরা আপিল করেছি। আর আপিলে ন্যায় বিচার পাওয়ার বিষয়ে আশা প্রকাশ করছি।’

প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের বৃহস্পতিবারের কার্যতালিকায় অন্য বিচারপতিদের নাম ও বেঞ্চ নম্বর উল্লেখ থাকলেও তিন বিচারপতির নাম রাখা হয়নি। এই তিন বিচারপতি হলেন—বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজাউল হক এবং বিচারপতি একেএম জহুরুল হক।

দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের এই তিন বিচারপতিকে আপাতত তাদের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখা হয়েছে। এ কারণে বৃহস্পতিবারের (২২ আগস্ট) কার্যতালিকায় তাদের নাম রাখা হয়নি। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের কয়েকটি সূত্র গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তবে কোন ধরনের দুর্নীতির অভিযোগে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।