পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান
পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান

এবার ডিআইজি মিজানের পিস্তলের লাইসেন্স বাতিল

সাময়িক বরখাস্ত পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের ব্যক্তিগত পিস্তলের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। মাগুরা জেলা প্রশাসক ও ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয় থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

মাগুরা জেলা পুলিশ সুপারের প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মিজানুর রহমান ১৯৯৭ সালের ৩০ জানুয়ারি থেকে ১৯৯৮ সালের ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাগুরায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্র জানায়, মাগুরায় কর্মরত থাকা অবস্থায় মিজানুর রহমান ব্যক্তিগত পিস্তলের লাইসেন্স করেন। পরে ২০১১ সালের ২৩ মে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ডিএএ-৪৯৮৩১৮ বেরেটা মডেলের একটি পিস্তল ও ১০ রাউন্ড গুলি কেনেন।

গত বছর ‘নারী কেলেঙ্কারি’–এর অভিযোগে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন মিজানুর। জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ওই কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠার পর গত বছরের ২৯ মে ৪০ রাউন্ড গুলি কেনার অনুমতি চেয়ে ডিআইজি মিজান মাগুরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আবেদন করেন। কিন্তু তৎকালীন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমান গুলি কেনার আবেদনটি নামঞ্জুর করেন।

সম্প্রতি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই মামলায় তিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন। পরে দুদকের পরিচালক এনামুল বাছিরকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়। ওই মামলার সূত্র ধরে মিজানের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সটি বাতিলের জন্য ৪ আগস্ট দুদক থেকে মাগুরায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয়ে চিঠি পাঠানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মাগুরার বর্তমান জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী আকবর মিজানের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সটি বাতিল করেন।

মাগুরা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী আকবর বলেন, মিজানের ব্যবহৃত ব্যক্তিগত পিস্তলটির লাইসেন্স বাতিলের পাশাপাশি তাঁর কাছে থাকা গুলি সরকারি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানিয়েছেন, লাইসেন্স বাতিলের এই সিদ্ধান্ত গত সোমবার (২৬ আগস্ট) নেওয়া হয়। মঙ্গলবার তা সংশ্লিষ্ট বিভাগের মাধ্যমে মিজানকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাঁর অস্ত্রটি জমা নিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে।