পুলিশ (প্রতীকী ছবি)
পুলিশ (প্রতীকী ছবি)

ডলার ছিনতাইয়ের মামলায় পুলিশের এএসআইসহ ২ জনের কারাদণ্ড

আড়াই বছর আগে ঢাকার উত্তরা এলাকায় ১৫ লাখ টাকার সমপরিমাণ ডলার ছিনতাইয়ের মামলায় পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শকসহ (এএসআই) দু’জনকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইস‌ঙ্গে তাদের পাঁচ হাজার টাকা জ‌রিমানা, অনাদা‌য়ে এক মা‌সের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আজ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার দ্রুত বিচার আদালত-৩ এর বিচারক দেবদাস চন্দ্র অধিকারী এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার এএসআই আলমগীর হোসেন (সাময়িক বরখাস্ত) ও মাসুম বিল্লাহ। আলমগীর যশোরের ঝিকরগাছা থানাধীন কীর্তিপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। মাসুম বিল্লাহর বাড়ি ঢাকার দোহার থানাধীন উত্তর শিমুলিয়া গ্রামে।

রায় প্রস্তুত না হওয়ায় এর আগে দুই দফা রায়ের তারিখ পেছানো হয়। গত ১৯ আগস্ট রায়ের দিন ধার্য থাকলেও পরে তা পিছিয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করা হয়। গত ৩ জুলাই একই কারণে রায় ঘোষণার তারিখ পেছানো হয়।

১৫ লাখের বেশি টাকার সমপরিমাণ ডলার ছিনতাইয়ের অভিযোগে নড়াইল জেলার নড়াগাতি থানার খাসিয়াল মধ্যপাড়ার বাসিন্দা মো. ইলিয়াস উত্তরা পূর্ব থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এজাহারে বলা হয়, লতিফ ইম্পেরিয়াল মার্কেটের এইচএস মানি এক্সচেঞ্জের মালিক ইলিয়াস ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল দুপুর ৩টার দিকে উত্তরার রাজলক্ষ্মী মার্কেটের সামনে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ একটি গাড়ি থেকে কয়েকজন লোক নেমে ডিবি পরিচয়ে তাকে তুলে নিয়ে কালো কাপড় দিয়ে চোখ বেঁধে ফেলে। তার কাছে থাকা ১৮ হাজার ৮শ ইউএস ডলার ছিনিয়ে নেয়।

ইলিয়াসের চিৎকারে আশপাশের লোকজন গাড়ি আটকে মাসুম বিল্লাহকে আটক করলেও চারজন পালিয়ে যান। পুলিশ মাসুমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার সঙ্গে এএসআই আলমগীর হোসেন, হাবিব ডলার, রাশেদ ও সুমনের জড়িত থাকার তথ্য জানতে পারে। পরে এএসআই আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করে। তারা দু’জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

মামলার তদন্ত করেন ডিবি পুলিশের এসআই নূরে আলম সিদ্দিক। ওই বছরের ১৯ জুন চারজনকে অব্যাহতি দিয়ে আলমগীর ও মাসুমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয়। মামলায় বিচারক রাষ্ট্রপক্ষে ১৬ সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য নেন।