যুবলীগ নেতা সম্রাট ও আরমান

সম্রাট-আরমানের ছয় মাস কারাদণ্ড

যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাটকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাঁর কাকরাইলের কার্যালয়ে ক্যাঙারুর দুটি চামড়া পাওয়ায় র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।

বন্যপ্রাণী আইনে সম্রাটকে ছয় মাসের সাজা দেওয়া হয়। র‌্যাব–১ এর অধিনায়ক সারওয়ার বিন কাসেম এই তথ্য জানিয়েছেন।

এ ছাড়া মাদক আইনে যুবলীগের সহসভাপতি এনামুল হক আরমানকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। র‌্যাব জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের সময় সম্রাট ও আরমান মদ্যপ ছিলেন। তাঁদের কাছে বিদেশি মদ ছিল। এ কারণেও ভ্রাম্যমাণ আদালত আরমানকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।

সম্রাট-আরমান কারাগারে
এদিকে সম্রাটকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রোববার (৬ অক্টোবর) রাত সোয়া আটটার দিকে তাঁকে কারাগার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার জাহেদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে সাধারণ বন্দী হিসেবে কারাগারে রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে আরমানকেও কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রোববার রাত পৌনে ১১টার দিকে তাঁকে কুমিল্লার কেন্দ্রীয় কারাগার পাঠানো হয়। কুমিল্লা কারাগারের ডেপুটি জেলার বিলাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, রোববার ভোরে সম্রাটকে তাঁর এক সহযোগী যুবলীগের সহসভাপতি এনামুল হক আরমানসহ কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেখান থেকে তাঁকে ঢাকায় আনা হয়।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকে আলোচনায় আসেন সম্রাট।