বঙ্গবন্ধু একজন ভিন্ন প্রকৃতির মানুষ ছিলেন : আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক (ফাইল ছবি)

আবরার হত্যায় জড়িত কেউ মাফ পাবে না: আইনমন্ত্রী

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আবরার ফাহাদের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কেউ মাফ পাবে না। আমরা চেষ্টা করছি এ ধরনের সব ঘটনায় মামলাগুলোর বিচার দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করতে। ইতোমধ্যে মাদরাসাছাত্রী নুসরাত হত্যার বিচার শেষ, এখন রায়ের অপেক্ষায় আছে। শিশু রাজন হত্যার বিচার হয়েছে।

আজ রোববার (১৩ অক্টোবর) ‘আজকের শিশু আনবে আলো, বিশ্বটাকে রাখবে ভালো’-এই স্লোগানকে সামনে রেখে শিশু অধিকার সপ্তাহ ও শিশু অধিকার সনদের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শিশু সংলাপ ২০১৯ এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এসব কথা বলেন।

জাতীয় শিশু একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এ সংলাপে তিনি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা শিশু প্রতিনিধিদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন- সেফ দ্য চিলড্রেনের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং বিশেষ অতিথির হিসেবে বক্তৃতা করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার।

আইনমন্ত্রী বলেন, আইনের লক্ষ্য হলো অপরাধীকে শাস্তি দেওয়া। সব ধরনের আইনি সুযোগ দিয়ে দ্রুততম সময়ে মামলা নিষ্পত্তি ও বিচার শেষ করার নজির শেখ হাসিনার সরকার স্থাপন করেছে।

তিনি বলেন, বুয়েটের আববার হত্যার ঘটনায় জড়িতদের আইনি ব্যবস্থায় কোনো ক্ষমা নেই। বিদ্যমান আইনেই দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে। ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান হত্যা মামলায়ও দ্রুত সময়ে শেষ হতে যাচ্ছে। মামলা সাক্ষ্য-যুক্তিতর্ক শেষে এখন রায়ের জন্য ধার্য রয়েছে।

র‌্যাগিং প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি একটি অপরাধ। র‌্যাগিং এর শিকার হলে শিক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকের কাছে নালিশ করার পরামর্শ দেন তিনি। প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ ওই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনার চেষ্টা করা হবে বলেও তিনি জানান।

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর চৌধুরীকে কানাডা থেকে ফেরত আনার ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের রায় অসুবিধার বিষয়টি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এ আসামি আত্মস্বীকৃত খুনি। এ আসামি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন-নেছা মুজিব, শিশু রাসেলসহ ১৮ জনকে গুলি করে হত্যার সঙ্গে জড়িত। আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। এখানে তার একমাত্র শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদণ্ড। এ আসামি যড়যন্ত্র ও হত্যায় জড়িত। আমরা তাদের বলেছি। এখানে দণ্ড মওকুফে আমাদের কোনো সুযোগ নেই। মৃত্যুদণ্ডই এখানে একমাত্র সাজা।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, অপরাধীকে সাজা দেওয়া হচ্ছে আইনের কাজ। এটা সমাজেরও চাহিদা। যদি কোনো অপরাধে মৃত্যুদণ্ড কাউকে দেওয়া হয় এবং সে আসামি বিদেশে পলায়ন করলে অনেক ক্ষেত্রে তাকে দেশে ফিরে আনা যায় না। সে জন্য কোনো কোনো ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন সাজার বিধান রাখা হচ্ছে। এক্ষেত্রেও আসামি মনে করবে অপরাধ করলে আমাকে যাবজ্জীবন জেলে থাকতে হবে এটাও বড় শাস্তি।