সর্বোচ্চ আদালত
সর্বোচ্চ আদালত

নিম্ন আদালতের বিচারিক কর্মঘণ্টার দ্বিতীয় ভাগের প্রতিবেদন প্রেরণের নির্দেশ

নিম্ন (অধস্তন) আদালতের বিচারিক কর্মঘণ্টার দ্বিতীয় ভাগে (দুপুর ২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা) বিবিধ মামলা ও অন্তর্বর্তীকালীন বিষয়সমূহ শুনানীকরণ এবং প্রতিমাসের প্রথম সপ্তাহে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রেরণের নির্দেশনা দিয়ে সার্কুলার জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নির্দেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মোঃ আলী আকবর স্বাক্ষরিত এ সার্কুলার সর্বোচ্চ আদালতের ওয়েবসাইটে সোমবার (৪ নভেম্বর) প্রকাশ করা হয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়, দেশের অধস্তন আদালতসমূহে বর্তমানে ৩০ লাখের বেশি মামলা বিচারাধীন এবং ক্রমান্বয়ে এই মামলার জট বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্ভাব্য স্বল্পতম সময়ের মধ্যে ন্যায়বিচার প্রাপ্তি বিচারপ্রার্থীর জনগণের অধিকার। বিচারপ্রার্থী জনগণের ন্যায়বিচার লাভের এই অধিকার সহজলভ্য করা এবং বিচারাধীন মামলাসমূহ দ্রুততার সাথে নিষ্পত্তির মাধ্যমে আদালতসমূহের মামলা জট হ্রাস করার জন্য সকল জেলা ও দায়রা জজ আদালত, মহানগর দায়রা জজ আদালত, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত ও সমপর্যায়ের আদালত/ট্রাইব্যুনাল, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত/ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে এসব আদালতসমূহের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রাণাধীন আদালতসমূহের বিচারকদের আদালতের বিচারিক কর্মঘণ্টার দ্বিতীয় ভাগে (দুপুর ২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা) দেওয়ানী ও ফৌজদারি বিবিধ মামলাসমূহ শুনানির জন্য গ্রহণসহ কতিপয় নির্দেশনা প্রদান করে সুপ্রিম কোর্ট বারবার সার্কুলার জারি করা সত্ত্বেও সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, অধিকাংশ জেলায় আদালতের বিচারিক কর্মঘণ্টার দ্বিতীয় ভাগের পূর্ণ ব্যবহার হচ্ছে না।

এমতাবস্থায়, আদালতের বিচারিক কর্মঘণ্টার দ্বিতীয় ভাগে অন্তর্বর্তীকালীন বিষয়, জামিন সংক্রান্ত বিবিধ মামলা, অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা, তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ, রায়ের পূর্বে ক্রোকের দরখাস্ত ইত্যাদি শুনানির জন্য গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।

একইসঙ্গে এ সার্কুলারের নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে কি-না তা সুপ্রিম কোর্টের জি.এ কমিটির মাধ্যমে তদারকির জন্য প্রতিমাসের প্রথম সপ্তাহে এ সক্রান্ত প্রতিবেদন অবশ্যই সুপ্রিম কোর্টে পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সার্কুলারে।