ভুয়া ডাক্তারের সর্বোচ্চ সাজার বিধান চেয়ে রিটের আদেশ মঙ্গলবার
চিকিৎসক ও হাইকোর্ট

কাজে যোগ না দেয়া কারা চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা, জানতে চান হাইকোর্ট

প্রেষণে নিয়োগ পাওয়ার পরও যেসব কারা চিকিৎসক এখনও নিজ নিজ পদে যোগদান করেননি, তাদের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কী ব্যবস্থা নিয়েছে— তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে আগামী ২৬ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন আকারে এতথ্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিচারপতি বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

প্রেষণে নিয়োগ দেয়ার পরও কাজে যোগ না দেয়া চিকিৎসকদের উদ্দেশে আদালত বলেছেন, “সেবা খাতের উন্নয়নের জন্য ডাক্তারদের উদ্দেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বার বার বলার পরও তারা সেবার ক্ষেত্রে উদাসীন।”

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. জে আর খাঁন রবিন। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শাম্মী আকতার। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম মোস্তফা কামাল পাশার পক্ষে ডেপুটি জেলার মুমিনুল ইসলাম গত ৫ নভেম্বর এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।

কারা অধিদফতরের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ২০ জন চিকিৎসককে কারাগারে পদায়ন করা হয়। এর মধ্যে মাত্র চার জন যোগদান করেন। বাকি ১৬ জন এখনও যোগদান করেননি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশে কারাগারে বন্দিদের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে মোট ৪০ হাজার ৬৬৪ জনের। তবে ধারণ ক্ষমতার বিপরীতে বর্তমানে কারাবন্দি আছেন ৮৬ হাজার ৯৯৮ জন (গত ২৭ আগস্ট পর্যন্ত)।

প্রসঙ্গত, কারা চিকিৎসক সংকট নিয়ে দেশের কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে আদালতে রিট দায়ের করেছিলেন আইনজীবী মো. জে আর খাঁন (রবিন)।

পরে গত ২৩ জুন জারি করা রুলে কারাগারে আইনগত অধিকার, মান সম্মত থাকার জায়গা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না এবং বন্দিদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে কারা চিকিৎসকের শূন্য পদে নিয়োগ দিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (সুরক্ষা বিভাগ) ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও কারা মহাপরিদর্শককে এসব রুলের জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।

এছাড়া, অন্য এক আদেশে আদালত সারাদেশের সব কারাগারে বন্দিদের ধারণ ক্ষমতা, বন্দি ও চিকিৎসকের সংখ্যা এবং চিকিৎসকের শূন্য পদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন।