আইন ও সালিশ কেন্দ্র

আইন ও সালিশ কেন্দ্রকে কার্যালয় ছাড়তে হচ্ছে না

রাজধানীর লালমাটিয়ায় অবস্থিত আইন ও সালিশ কেন্দ্রকে (আসক) তাদের কার্যালয়ে থাকার ওপর তিন মাসের স্থিতাবস্থা জারি করেছেন হাইকোর্ট। ফলে আসককে তার কার্যালয় ছাড়তে হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ রোববার (১ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

পাশপাশি আসককে রাজউকের ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক দুই লাখ টাকা জরিমানার আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতের আসকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না। তার সাথে ছিলেন আইনজীবী আসাদুজ্জামান, শাহিনুজ্জামান, জামিউল হক ফয়সাল ও রুনা রোহানি। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

এর আগে, গত ১৪ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাজউকের ভ্রাম্যমাণ আদালত আসককে দুই লাখ টাকা জরিমানা এবং দুই মাসের মধ্যে কার্যালয় ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দেন। পরের দিন ১৫ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলন করে আসক।

সংবাদ সম্মেলনে আসকের নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা বলেন, ১৪ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) আসক কার্যালয় ভবন মালিকের রাজউকের নকশা বহির্ভূত গ্যারেজের অংশে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আক্তার আসক কার্যালয়ে গিয়ে আবাসিক এলাকায় অফিস পরিচালনার কারণ জানতে চান। আসকের পক্ষ থেকে সব তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করা হয় এবং জানানো হয়, ভাড়াটিয়া হিসেবে সব শর্ত মেনেই আসক অফিস পরিচালনা করছে।

তিনি বলেন, সারাদেশে আসকের একটিই কার্যালয় এবং এখানে শুধু দাফতরিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। আসক কোনো ধরনের আর্থিক কিংবা ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে না। বাংলাদেশ এনজিও ব্যুরোসহ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের অনুমোদন নিয়েই আসক দীর্ঘ ৩৩ বছর ধরে মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করে আসছে।

শীপা হাফিজা আরও বলেন, সবকিছু জানানোর পরও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমারত নির্মাণ আইন ১৯৫২ এর ৩(ক) ধারা মতে, আসককে আগামী দুই মাসের মধ্যে কার্যালয় ছেড়ে দেয়ার নির্দেশনার পাশাপাশি দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন। অথচ আইনের ওই ধারাটি ভবন মালিক, নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আসক শুধু ভাড়াটে হিসেবে ভবনটি ব্যবহার করছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত বিষয়গুলো আমলে না নিয়ে জরিমানা বহাল রাখেন এবং জরিমানা আদায় করেন। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করে আসক।