অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী

আইনজীবীরা প্রথমে ল’ইয়ার এরপর রাজনৈতিক পরিচয়

অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। বর্তমানে রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ল’ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (রুলা) এর সভাপতির দায়িত্বে আছেন। এছাড়াও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। নেতৃত্বগুণে গুণান্বিত ও স্বাচ্ছন্দ্যে চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত এই নারী আইনজীবীর মুখোমুখি হয়েছিল ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম। সাক্ষাৎকারের এই পর্বে উঠে এসেছে রাজনীতির ক্ষেত্রে নারী আইনজীবীদের জন্য পরামর্শ এবং সমাজের বৃহত্তর স্বার্থে আইনজীবীদের ভূমিকা প্রসঙ্গ।

ল’ইয়ার্স ক্লাব: রাজনীতির ক্ষেত্রে নারী আইনজীবীদের জন্য আপনার পরামর্শ কি?

অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা: নারী আইনজীবীদের প্রতি আমার পরামর্শ নয়, তাদের প্রতি আমার প্রত্যাশা, শুধু রাজনীতি নয়, কাজ এবং কাজের প্রতি একাগ্রতা, নৈতিকতা ও আদর্শিক বিষয়গুলো প্রাধান্য দেওয়া। একটা বিষয় ভুলে গেলে চলবে না যে আমরা প্রথমে ল’ইয়ার এরপর রাজনৈতিক পরিচয়। তাই কাজের ক্ষেত্রে মনযোগী হওয়া জরুরী। ঠিকঠাক মতো কাজ করে যেতে পারলে বাকিসব আপনাআপনিই যুক্ত হবে। তারা যেন কারো ওপর নির্ভরশীল না হয়, নিজেকে সঠিকভাবে যেন গড়ে তোলে। তাহলে যেকোনো দায়িত্ব পেলেই তা সঠিকভাবে পালন করতে পারবে।

ল’ইয়ার্স ক্লাব: সমাজের বৃহত্তর স্বার্থে আইনজীবীদের ভূমিকা কি হতে পারে কিংবা কেমন হওয়া উচিত বলে মনে করেন?

অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা: ক্ষুদ্রতম কাজের মাধ্যমেও কিন্তু সমাজের বৃহত্তর স্বার্থ হাসিল করা যায়। আইনজীবীরা তাদের আশেপাশের মানুষের মধ্যে দায়িত্ব নিয়ে আইন বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সচেষ্ট থাকতে পারেন। কাজের পাশাপাশি যদি একটু একটু করেও দেশের সকল আইনজীবী এই দায়িত্বটা কাঁধে তুলে নেন তাহলে অনেক সমস্যাই আদালত পর্যন্ত গড়ায় না। আর সাধ্যমত যেকোনো সামাজিক কাজে আইনজীবীরা নিজেদের নিয়োজিত করতে পারেন।

আরও পড়ুন: ‘কর্মভেদে নারী-পুরুষ আলাদা আলাদা যোগ্যতা রাখে, এমনটা ভাবিনা’

‘শুরুর দিকে নবীনরা নয়টা-পাঁচটা চাকরির মতো কোর্টে সময় ব্যয় করতে হবে’

স্কুল-কলেজে প্রয়োজনীয় আইন সম্বলিত একটি পাঠ্যবই থাকা উচিৎ: অ্যাড. যুথী