প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ না করার নির্দেশনা চেয়ে রিট
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ছবি)

‘আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে মানবাধিকার সুরক্ষায় সরকার বদ্ধপরিকর’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাম্য ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য অর্জনে সরকার কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে মানবাধিকার সুরক্ষায় সরকার বদ্ধপরিকর।’

আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর সোনারগাঁ হোটেলে ‘বিশ্ব মানবাধিকার দিবস-২০১৯’ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বক্তব্যের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজয়ের মাসে সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর তিনি বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান স্বাধীনতার মাত্র নয় মাসের মধ্যে দেশকে একটি সংবিধান দিয়েছেন। যে সংবিধানে মানুষের মৌলিক চাহিদাসহ ধর্ম, বিবেক ও চিন্তার স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছেন। একইসঙ্গে সংবিধানে মানবাধিকার নিশ্চিতের বিষয়টিও স্পষ্ট করে বলা আছে। জাতির পিতার সে লক্ষ্য অর্জনে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে মানবাধিকার সুরক্ষায় সরকার বদ্ধপরিকর।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকল মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার করার মাধ্যমে দেশের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সরকার। এ লক্ষ্যে ২০০৯ সালে মানবাধিকার কমিশন আইন প্রণয়ন করেছি। ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারেও মানবাধিকার কমিশনের সক্ষমতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধির যে প্রক্রিয়া তা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার আমরা করেছি। তারই ধারাবাহিকতায় কমিশন মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্ত করে সুপারিশসহ সরকারের কাছে প্রেরণ করছে এবং সরকার গুরুত্বের সাথে কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সোচ্চার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার মানবাধিকার নিশ্চিতসহ নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করছে। আমরা মনে করি সরকার জনগণের সেবক। আর সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের জনগণকে মানবাধিকার ও নাগরিক দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করা প্রয়োজন। কারণ অধিকার সচেতন মানুষের কিছু দায়িত্বও থাকে। অধিকার ও কর্তব্য পরস্পর সম্পৃক্ত। কেননা আমার যা অধিকার তা অপরের কর্তব্য, অপরের যা অধিকার তা হয়তো আমার জন্য কর্তব্য। কাজেই অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে নাগরিকের সচেতনতা সৃষ্টি করা অপরিহার্য বলে মনে করি।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।