আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম

আইডিয়াল অধ্যক্ষের এমপিও স্থগিতের কার্যক্রম স্থগিত করল হাইকোর্ট

আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মতিঝিল, বনশ্রী ও মুগদা শাখায় ২০১৮ সালের দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় অনিয়মের ঘটনায় অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগমের এমপিও স্থগিত করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তদের স্মারকের কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

এক রিট আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে আজ রোববার (২২ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো.নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি সরদার রাশেদ মো. জাহাঙ্গীরের হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একইসঙ্গে শাহান আরা বেগমের এমপিও সুবিধা স্থগিত করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে দেওয়া স্মারক কেন আইনগত বর্হিভূত হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপ সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালক (ঢাকা এলাকা), উপ-পরিচালক (কলেজ-২), সহকারী পরিচালকসহ (কলেজ-৩) ১২ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান ও মো.ইফতাবুল কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

পরে আমিন উদ্দিন মানিক জানান, এ আদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার জজ আদালতে আবেদনের জন্য নোট দেওয়া হবে।

গত ২২ অক্টোবর শাহান আরা বেগমের এমপিও সুবিধা এক স্মারকে স্থগিত করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।

ওই স্মারকে বলা হয়, ঢাকা মহানগরীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড.শাহান আরা বেগমের বিরুদ্ধে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানের মতিঝিল, বনশ্রী এবং মুগদা শাখায় ২০১৮ সালের দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।

অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ এর ১৮(খ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অধ্যক্ষ ড.শাহান আরা বেগমের এমপিও স্থগিত করার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে (মাউশি) নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আইনজীবীর ইফতাবুল কামালের দাবি, তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে-‘দ্বিতীয় শ্রেণির পরীক্ষার্থীর বেশিরভাগই কাঠ পেন্সিলে পরীক্ষা দিয়েছে। পরীক্ষার খাতায় কাটাকাটি ও ঘষামাজা করার তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। যেহেতু দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী তারা নিজেরাও কাটাকাটি ও ঘষামাজা করে থাকতে পারে। পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের পরে কিংবা শিক্ষার্থীরা নিজেরায় এসব কাটাকাটি ও ঘষামাজা করেছে তা স্পষ্ট নয়।’ সুতরাং প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সঠিক নয় বলে জানান ইফতাবুল কামাল।

ওই স্মারকের বৈধতা নিয়ে ১৮ ডিসেম্বর রিট করেন ঢাকার মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগম।