বেসিক কেলেঙ্কারি : ৩ মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ
বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি

বেসিক ব্যাংকের নিয়োগে অনিয়মের তদন্ত চেয়ে রিট

বেসিক ব্যাংকের একহাজার ১৭৩ জনের নিয়োগে অনিয়মের তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে বেসিক ব্যাংকের নিয়োগের অনিয়ম নিয়ে কন্ট্রোলার অডিটর জেনারেলের রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। পাশপাশি অনিয়মের ঘটনায় ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুরও তলব চাওয়া হয়েছে।

আজ রোববার (২২ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী টাইটাস হিল্লোল রেমা। আবেদনটির ওপর হাইকোর্টের বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানি হবে।

রিটে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, কন্ট্রোলার অডিটর জেনারেলসহ সাত জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

এর আগে গত ২৯ নভেম্বর ‘যেমন খুশি তেমন নিয়োগ বেসিক ব্যাংকে’ শিরোনামে একটি জাতীয় পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ পায়।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বেসিক ব্যাংকে নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়স, লিখিত-মৌখিক পরীক্ষা, নিয়োগ-সংক্রান্ত বিধি-বিধান কোনো কিছুই মানা হয়নি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ তদন্ত করলেও নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করছে না। এ ব্যাপারে দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত বিভাগের পরিচালক কাজী সফিকুল আলম জানান, নিয়োগ-দুর্নীতি সংক্রান্ত সিএজির নিরীক্ষা প্রতিবেদন তাদের হাতে পৌঁছেনি। প্রতিবেদনটি পেলে নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। নিয়োগ সংক্রান্ত নীতিমালা লঙ্ঘন করে কোনো বিজ্ঞপ্তি ও লিখিত-মৌখিক পরীক্ষা ছাড়াই, এমনকি আবেদনপত্র জমা না দিলেও কিংবা জীবনবৃত্তান্তে স্বাক্ষর না থাকলেও অনেককে বেসিক ব্যাংকে চাকরি দেয়া হয়েছে। উত্তরপত্র অতি মূল্যায়িত করে নম্বর দিয়েও চাকরি দেয়া হয়েছে অদক্ষ, অনভিজ্ঞদের। শিক্ষাগত সনদে একাধিক তৃতীয় শ্রেণি থাকলেও কিংবা চাকরির বয়সসীমা পার হয়ে গেলেও নিয়োগ পেয়েছেন কেউ কেউ।

পরে ওই সংবাদটি সংযুক্ত করে এই রিট দায়ের করা হয়।