অ্যাডভোকেট কাজী নজিবউল্লাহ্ হিরু
অ্যাডভোকেট কাজী নজিবউল্লাহ্ হিরু

ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদে আলোচনায় এগিয়ে আ. লীগের আইন সম্পাদক হিরু

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। জানুয়ারিতে নির্বাচন। তবে তফসিল ঘোষণার আগেই মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ছবি ছাপিয়ে পোস্টার লাগানো শুরু হয়েছে। নেতা কর্মীদের মধ্যে সিটি নির্বাচনের একটা আমেজও এসেছে। আওয়ামী লীগে উত্তর সিটির প্রার্থী পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা কম, বিএনপিরও একই ব্যক্তিকে আবার দেওয়া হবে বলে শোনা যাচ্ছে। অন্যদিকে দক্ষিণ সিটিতে দুই দলেই নতুন মুখ মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে বেশ আশাবাদী।

নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক প্রার্থীরা এরই মধ্যে অনানুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেছেন। রাজধানীর বিভিন্ন দেয়ালে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের পোস্টারও সাঁটা হচ্ছে।

ঢাকা উত্তর সিটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর দিক থেকে পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম। অন্যদিকে দক্ষিণ সিটির মেয়র সাঈদ খোকন পুনরায় মনোনয়ন পাওয়ার আশা করলেও আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলনে সদ্য ঘোষিত কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী নজিবউল্লাহ্ হিরু দক্ষিণের মেয়র পদে আলোচনায় এগিয়ে রয়েছেন।

নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনজীবী নজিবউল্লাহ্ হিরু বলেন, ‘দক্ষিণে মেয়র পদে আমি একজন শক্তিশালী মনোনয়ন প্রত্যাশী। মানুষ পরিবর্তন চায়। আমার বিশ্বাস আমি দলের মনোনয়ন পাব। সেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

এছাড়া আওয়ামী লীগেও নজিবউল্লাহ্ হিরুর মনোনয়নের ব্যাপারে গুঞ্জন আছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছের লোক বলে পরিচিত।

কাজী নজিবউল্লাহ্ হিরু অত্যন্ত ক্লিন ইমেজের রাজনৈতিক ব্যক্তি। আসন্ন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তার বিকল্প কেউ আছেন বলে মনে করেন না অনেকেই। স্বচ্ছ রাজনৈতিক কর্মকান্ডের কারণে তার জনপ্রিয়তাও বেশি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ। এমনকি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ট্রাম কার্ড হতে পারেন তিনি।

পুরাণ ঢাকার এই কৃতি সন্তান বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য ও লিগ্যাল এডুকেশন কমিটির চেয়ারম্যান। ইতিপূর্বে বাংলাদেশ আওয়ামী যুব লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, জগন্নাথ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।

উল্লেখ্য, রোববার (২২ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে আগামী ৩০ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর। আর ২ জানুয়ারি এসব মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ জানুয়ারি।