সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহা
সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহা (ফাইল ছবি)

বিচারপতি সিনহাকে আদালতে হাজির হতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

ফারমার্স ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) থেকে ৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় পলাতক সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহাসহ ১১ জনকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন। পাশাপাশি এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে।

পলাতক ১১ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আজ দিন ধার্য ছিল। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল হওয়ায় আইনুযায়ী পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য এ নির্দেশ দেন আদালত।

এর আগে ৫ জানুয়ারি সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দেয়া চার্জশিট আমলে নিয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

এ মামলার বাকি আসামিরা হলেন- ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম শামীম, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট, ব্যাংকের নিরীক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ও সাবেক ক্রেডিট প্রধান গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক জিয়া উদ্দিন আহমেদ, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের ব্যবসায়ী শাহজাহান, একই জেলার নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, সান্ত্রী রায় ওরফে সিমি ও তার স্বামী রণজিৎ চন্দ্র সাহা।

গত ১০ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক বেনজীর আহমেদ। এর আগে ৪ ডিসেম্বর কমিশনের সভায় ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) অনুমোদন দেয়া হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সাবেক প্রধান বিচারপতির ব্যাংক হিসাবে চার কোটি টাকা লেনদেনের ঘটনায় জালিয়াতি প্রমাণের কথা জানিয়েছিলেন দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। এ ঘটনায় ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক এমডি কেএম শামীমসহ ছয় কর্মকর্তা এবং শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারা এসকে সিনহার ব্যাংক হিসাবে চার কোটি টাকা স্থানান্তরের বিষয়টি স্বীকার করেন।