উচ্চ আদালত
উচ্চ আদালত

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানের একটি ধারা সংশোধনের পক্ষে হাইকোর্ট

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির প্রবিধানমালা, ২০০৯ এর ৭(২) ধারা সংশোধনের পক্ষে মত দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে আদালত পর্যবেক্ষণে, “কোন শিক্ষক কিংবা শিক্ষক শ্রেণীর সদস্য ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে নির্বাচিত হবেন না” এর স্থলে “সংশ্লিষ্ট স্কুলের কোন শিক্ষক কিংবা শিক্ষক শ্রেণীর সদস্য ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে নির্বাচিত হবেন না” মর্মে বিধান সংশোধন করতে বলেছেন।

এ সংক্রান্ত এক মামলায় জারিকৃত রুল যথাযথ ঘোষণা করে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পর্যবেক্ষণ দেন।

একইসঙ্গে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার রায়পুর পিজাহাতি দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ফরিদ আহম্মদকে মদন উপজেলার খাগুরিয়া হাই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদ থেকে অপসারণ করা বেআইনি ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।

আদালতে ফরিদ আহম্মদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোঃ মোজাম্মেল হোসেন। অন্যদিকে ডেপুটি এটর্নী জেনারেল অমিত তালুকদার এ বিষয়ে এ্যামিক্যাস কিউরি হিসেবে আদালতে মতামত ব্যক্ত করেন।

আদেশের বিষয়টি ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী মোজাম্মেল হোসেন। তিনি বলেন, ফরিদ আহম্মদ নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলাধীন রায়পুর পিজাহাতি দাখিল মাদ্রাসা এর সহকারী শিক্ষক নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলাধীন খাগুরিয়া হাই স্কুল এর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়ে কাজ করে আসছিলেন। কিন্তু  ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড তাঁকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি) প্রবিধানমালা, ২০০৯ এর ৭(২) ধারা অনুযায়ী কমিটির সভাপতি পদ থেকে অপসারণ করেন। কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন, ‘ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জনাব ফরিদ আহম্মদ নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলাধীন রায়পুর পিজাহাতি দাখিল মাদ্রাসা এর সহকারী শিক্ষক হওয়ায় তাঁর এ পদে থাকার সুযোগ নেই।’

মোজাম্মেল হোসেন জানান, ওই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। উক্ত রিটের শুনানি নিয়ে আদালত কোন শিক্ষক কিংবা শিক্ষক শ্রেণীর সদস্য ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে কেন থাকতে পারেন না, জানতে চেয়ে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের উপর রুল জারী করেন। পরবর্তীতে জারিকৃত রুল শুনানি শেষে এ সংক্রান্ত বিধান সংশোধনের জন্য পর্যবেক্ষণসহ ফরিদ আহম্মদের পক্ষে রায় দেন আদালত। কারণ হিসেবে আদালত বলেন, যেহেতু ফরিদ আহম্মদ সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষক নন, তাই তাঁর ম্যানেজিং কমিটির চেয়ারম্যান পদ বাতিল করা অবৈধ।

‘মামলায় ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের পক্ষে কোন আইনজীবী রুল শুনানিতে অংশগ্রহণ করেননি বলে আদালত ডেপুটি এটর্নী জেনারেল অমিত তালুকদার এ বিষয়ে এ্যামিক্যাস কিউরি হিসেবে আদালতে মতামত দিয়েছেন’ যোগ করেন আইনজীবী মোজাম্মেল।