হাইকোর্ট
হাইকোর্ট

তথ্য গোপন করে জামিন চাওয়ায় আসামিকে ২ লাখ টাকা জরিমানা

বিচারিক আদালতের একই আদেশের বিরুদ্ধে একই সময়ে হাইকোর্টের দুই বেঞ্চে দুইটি পৃথক জামিন আবেদন করার ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের গোয়েন্দা শাখার অফিস সহায়ককে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

জামিন-সংক্রান্ত আবেদনের শুনানিতে আজ সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

একই সঙ্গে, আসামির জামিন আবেদন না-মঞ্জুর করেছেন আদালত। পাশপাশি জরিমানার টাকা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সরকারি ট্রেজারিতে জমা দিতে বলা হয়েছে। আসামি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের গোয়েন্দা শাখার অফিস সহায়ক মো. তসলিম উদ্দিনকে এ টাকা দিতে হবে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না, দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মো. ওমর ফারুক। অন্যদিকে, আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী নূর-এ আলম উজ্জ্বল।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর চট্টগ্রাম মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে জামিনের আবেদন করে আসামিপক্ষ। সেখানে জামিন নামঞ্জুর হওয়ার পর গত ১৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হয়। পরে সেই তথ্য গোপন করে চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি হাইকোর্টের পৃথক বেঞ্চে পুনরায় জামিন আবেদন করা হয়।

আজ আদালতে জামিন শুনানির সময় এই তথ্য আদালতকে জানানোর পরে আদালত আসামিকে তথ্য গোপন করে হাইকোর্টের নিয়ম ভঙ্গ করা এবং একই আদেশের বিরুদ্ধে একই সময়ে দুইটি পৃথক পৃথক জামিন আবেদন করায় তাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন এবং তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর নগরের ষোলশহর ‘চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্স’র দ্বিতীয় তলায় ‘আনুকা’ নামক দোকানে এলএ শাখার ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে চেইনম্যান নজরুল ইসলামসহ দুইজনকে গ্রেফতার করে দুদক জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-১-এর এনফোর্সমেন্ট টিমের সদস্যরা।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাড়ে ৮ লাখ ৭ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণসহ ৯১ লাখ ৮৩ হাজার টাকার ১০টি চেক উদ্ধার করা হয়। এরপর এ ঘটনায় দুদকের সহকারী পরিচালক রতন কুমার দাস বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।