তাবিথ আউয়াল এবং হাইকোর্ট

তাবিথের প্রার্থিতা বাতিলে রিট খারিজের পর্যবেক্ষণে যা বললেন হাইকোর্ট

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পরও তাবিথ আউয়ালের প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ থাকবে বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিএনপি মনোনীত এই মেয়র প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের রিট সরাসরি খারিজ করে আজ সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পর্যবেক্ষণ দেন।

আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘নির্বাচনের সময় আছে আর মাত্র চার দিন। এ সময়ের মধ্যে হলফনামার তথ্যসংক্রান্ত বিষয়ের সুরাহা করা, সত্যতা যাচাই করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। নির্বাচনের পরে যেহেতু বিষয়টি আদালতে উত্থাপন করার সুযোগ রয়েছে, তাই ফলাফলের ভিত্তিতে পক্ষসমূহের মধ্য থেকে যে কেউ নির্বাচনের পরে প্রশ্ন তুলতে পারবেন। বিষয়টি নির্বাচনের পর হলে উভয়পক্ষের জন্য মঙ্গলজনক হবে।’

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম। অন্যদিকে তাবিথের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন আহমেদ ও অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। তাদের সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, এ কে এম এহসানুর রহমান, জামিউল হক ফয়সাল প্রমুখ।

এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি তাবিথের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক বাদী হয়ে রিটটি দায়ের করেন। রিটে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

গত ২৩ জানুয়ারি বিকালে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাবিথের প্রার্থিতা বাতিলের দাবি জানান বিচারপতি মানিক। এ সময় তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর এ-সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন।

পরে বিচারপতি মানিক জানান, সিঙ্গাপুরে এনএফএম এনার্জি (সিঙ্গাপুর) প্রাইভেট কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি কোম্পানিতে তাবিথসহ তিনজনের শেয়ার রয়েছে। অন্য দুজন তার সহযোগী। তাবিথসহ তিনজন মিলে এ কোম্পানির সব শেয়ারের মালিক হয়েছেন। এই কোম্পানির মূল্য দেখানো হয়েছে ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি।

বিচারপতি মানিক আরও বলেন, এনএফএম এনার্জি (সিঙ্গাপুর) প্রাইভেট কোম্পানির কথা তাবিথ তার হলফনামায় উল্লেখ করেননি। আইন হচ্ছে, তার ও তার পরিবারের সব সদস্যের সব সম্পদ হলফনামায় দেখাতে হবে। কিন্তু তাবিথ তা দেখাননি।

তবে নির্বাচন কমিশনের ওই আবেদনের বিষয়ে কোনও সাড়া না পেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মানিক।