উচ্চ আদালত
উচ্চ আদালত

অভিজাত ১৩ ক্লাবে জুয়া খেলা নিয়ে রুলের রায় ৯ ফেব্রুয়ারি

ঢাকা ক্লাবসহ দেশের ১৩টি অভিজাত ক্লাবে টাকার বিনিময়ে হাউজি, ডাইস ও তাস খেলা নিয়ে জারি করা রুলের ওপর রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

আজ মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণার জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেছেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রেদোয়ান আহমেদ রানজীব। ঢাকা ক্লাবের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি এ বিষয়ে জারি করা রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়। শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য মঙ্গলবার তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন আদালত। আজ (মঙ্গলবার) রায় ঘোষণার নির্ধারিত দিনে তা পিছিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি রায়ের দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ঢাকা ক্লাবসহ দেশের ১৩টি অভিজাত ক্লাবে টাকার বিনিময়ে হাউজি, ডাইস ও তাস খেলা নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সামীউল হক ও রোকন উদ্দিন মো. ফারুক।

ওই রিটের শুনানি নিয়ে একই বছরের ৪ ডিসেম্বর ঢাকা ক্লাবসহ দেশের ১৩টি অভিজাত ক্লাবকে টাকার বিনিময়ে হাউজি, ডাইস ও তাস খেলা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়। অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ ছাড়াও এ ব্যাপারে রুল জারি করা হয়। রুলে অভ্যন্তরীণ খেলার নামে কার্ড, ডাইস ও হাউজি খেলার বেআইনি ব্যবসা আয়োজনকারীদের বিরুদ্ধে কেন যথাযথ পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছিলো। অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা ক্লাবের আবেদনের পর আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন এবং রুল নিষ্পত্তিতে আদেশ দেন।

রিটের বিবাদীরা হলেন- স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম মহানগর, খুলনা মহানগর, সিলেট মহানগরের পুলিশ কমিশার, র‍্যাবের মহাপরিচালক, ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা ও নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক।

১৩ টি ক্লাব হলো- ঢাকা ক্লাব, উত্তরা ক্লাব, গুলশান ক্লাব, ধানমন্ডি ক্লাব, বনানী ক্লাব, অফিসার্স ক্লাব ঢাকা, ঢাকা লেডিস ক্লাব, ক্যাডেট কলেজ ক্লাব, চিটাগাং ক্লাব, চিটাগাং সিনিয়রস ক্লাব, নারায়ণগঞ্জ ক্লাব, সিলেট ক্লাব ও খুলনা ক্লাব।