১২ কোটি টাকা ফি: আইনজীবীর বিষয়ে তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট
ঊচ্চ আদালত

পরিবেশ অধিদপ্তরে ৫ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের

পরিবেশ রক্ষায় অভিযান পরিচালনার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরে ৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পদায়ন করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণায়লকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী এক মাসের মধ্যে এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলেছেন আদালত।

আজ রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আমাতুল করীম।

এর আগে সকালে আদালতের তলবে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাইকোর্টে হাজির হন।

আদালতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিজি বলেন, বায়ু দূষণ নিয়ে আদালতের আদেশ আমাদের অনেক বেশি শক্তিশালী করেছে। এত কিছুর পরও কেন দূষণ কমছে না-সে বিষয়ে একটি সেমিনার করেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদের নিয়ে। সেখানে তারা কিছু মতামত দিয়েছেন।

মতামতগুলো তিনি আদালতে পড়ে শোনান। এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল।

গত ১৩ জানুয়ারি ঢাকার বায়ুমান ও পরিবেশ অধিদপ্তরের জনবলের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে ডিজিকে হাজির হতে নির্দেশ দেন।

এদিকে ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে গত বছরের ৯ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছিলো পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়। কিন্তু এর মধ্যে খুলনার জন্য একজন ম্যাজিস্ট্রেট পদায়ন করে জন প্রশাসন। এ তথ্যে আদালতকে অবহিত করার পর এক মাসের মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরে ৫ জন ম্যাজিস্ট্রেট পদায়ন করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন আদালত।

এরপর আদালত বায়ু দূষণ রোধে বিশেষজ্ঞ মতামত এবং উচ্চতর কমিটির সুপারিশ নিয়ে একটি সমন্বিত কার‌্যক্রম তৈরি করে ১০ মার্চের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দেন।

রাজধানীতে বায়ু দূষণ রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে সম্পূরক আবেদন করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে আবেদন করা হয়।

এই রিটের ধারাবাহিকতায় ১৩ জানুয়ারি এ আদেশ দেন আদালত।

এর আগে ঢাকার বায়ু দূষণ নিয়ে গণমাধ্যমে গত বছরের ২১ জানুয়ারি প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে এ রিট করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ওই বছরের ২৮ জানুয়ারি আদালত রুলসহ আদেশ দেন।

ওইদিন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ জানান, রুলে ঢাকা শহরের বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে দুই সপ্তাহের রুল জারি করেছেন আদালত।

মনজিল মোরসেদ আরও জানান, অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে ঢাকা শহরের যেসব এলাকায় উন্নয়ন ও সংস্কার (রাস্তা ও নির্মাণাধীন কাজের জায়গা) কাজ চলছে সেসব এলাকা ঘেরাও করে কাজ করার পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

১৫ দিনের মধ্যে আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন এ আদেশ পালন করে এর দুই সপ্তাহের মধ্যে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এছাড়াও যেসব এলাকায় উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ চলছে এবং যেসব এলাকা ধুলোবালুপ্রবণ, যেসব এলাকায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দিনে দু’বার পানি ছিটাতে দুই সিটির মেয়র ও নির্বাহীদের নির্দেশ দেওয়া হয়।

এ আদেশ অনুসারে বিবাদীরা হাইকোর্টে প্রতিবেদন দিয়েছিলেন। পরে এ নিয়ে দুই সিটির নির্বাহীকে তলবও করেছিলেন হাইকোর্ট।