সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত কুষ্টিয়া জেলার ঘোষিত চূড়ান্ত ফল ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ রোববার (২ ফেব্রুয়ারী) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এস এম শহিদুল ইসলাম। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী তানজিলা ফেরদৌসী।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী শহিদুল ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩-এর ৭ ধারায় বলা হয়েছে, এই বিধিমালার অধীন সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদগুলোর ষাট শতাংশ নারী প্রার্থীদের দ্বারা, বিশ শতাংশ পৌষ্য প্রার্থীদের দ্বারা এবং বাকি বিশ শতাংশ পুরুষ প্রার্থীদের দ্বারা পূরণ করা হইবে। কিন্তু ২৪ ডিসেম্বরের ঘোষিত ফলের ক্ষেত্রে সেটা অনুসরণ করা হয়নি। তাই কুষ্টিয়ার বাসিন্দা সালমা খাতুন হাইকোর্টে রিট করেন।
তিনি আরও বলেন, আজ (রবিবার) আদালত কুষ্টিয়া জেলার ফলাফলের ওপর ৬ মাসের স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে ওই বছরের ১ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশ থেকে ২৪ লাখ পাঁচজন প্রার্থী আবেদন করেন। প্রথম ধাপে ২৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ৩১ মে, তৃতীয় ধাপে ২১ জুন এবং চতুর্থ ধাপে ২৮ জুন লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
সেপ্টেম্বরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ লিখিত পরীক্ষায় ৫৫ হাজার ২৯৫ জন পাস করেন। গত ৬ অক্টোবর থেকে নিয়োগ পরীক্ষার মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়। মাসব্যাপী সারাদেশের সব জেলায় মৌখিক পরীক্ষা আয়োজন করা হয়। এ পরীক্ষায় ৬১ জেলায় ১৮ হাজার ১৪৭ জন চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হন।