ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের বিরুদ্ধে রিভিউ শুনানি ১০ আগস্ট

নিয়োগ বঞ্চিত দুই বিচারপতির আপিল শুনানি ৩ মার্চ

হাইকোর্টে অস্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর স্থায়ী করা থেকে বঞ্চিত দুই বিচারপতির আবেদন শুনানির জন্য ৩ মার্চ দিন রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

রাষ্ট্রপক্ষের সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার (১০ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

বাদ পড়া ওই দুই বিচারপতি হলেন- বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেন ও ফরিদ আহমদ শিবলী।

আদালতে ফরিদ আহমদ শিবলীর আইনজীবী ছিলেন মনজিল মোরসেদ এবং বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেনর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সালাহ উদ্দিন আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

এর আগে আপিলের সারসংক্ষেপ দিতে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার এ সার সংক্ষেপ দিতে সময় চান রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর আদালত ৩ মার্চ পর্যন্ত মুলতবি করেন।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১৪ জুন এ বি এম আলতাফ হোসেনসহ মোট ছয়জনকে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে হাইকোর্টে নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু অতিরিক্ত বিচারপতি হিসাবে দুইবছর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আলতাফ হোসেনকে বাদ দিয়ে অন্য পাঁচজনকে ২০১৪ সালের ৯ জুন স্থায়ী করা হয়। এরপর স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেতে হাইকোর্টের নির্দেশনা চেয়ে একই বছরের ১২ আগস্ট রিট আবেদন করেন এ বি এম আলতাফ হোসেন।

এছাড়া বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেনকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দানের নির্দেশনা চেয়ে ওই বছরের ২৩ জুলাই পৃথক একটি রিট দায়ের করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ইদ্রিসুর রহমান। একই বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট দুটি রিটই খারিজ করে দেন। এর বিরুদ্ধে আপিলের অনুমিতে চেয়ে আবেদন করেন এ বি এম আলতাফ হোসেন।

২০১৪ সালের ৬ নভেম্বর তার লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি) মঞ্জুর করে সাতজন অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দেন আপিল বিভাগ। অ্যামিকাস কিউরিরা হলেন- ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, এম আমীর-উল ইসলাম, মাহমদুল ইসলাম (পরে প্রয়াত), আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, আজমালুল হোসেন কিউসি ও এএফ হাসান আরিফ।

অন্যদিকে বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলীসহ ১০ জন ২০১৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দুই বছরের জন্য অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। পরের দিন তারা শপথ নেন। ওইদিন থেকেই তাদের নিয়োগ কার্যকর হয়।

পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শক্রমে হাইকোর্টে নিয়োগ পাওয়া ১০ অতিরিক্ত বিচারপতির মধ্যে ওই ৮ জনকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। এর মধ্যে বিচারপতি জে এন দেব চৌধুরী মৃত্যুবরণ করেন। অপরদিকে বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলী বাদ পড়েন।

এরপর স্থায়ী নিয়োগ না দেয়ার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৭ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি রিট করেন ফরিদ আহমদ শিবলী। ওইদিনই তার আবেদনটি নিষ্পত্তি করেন দেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ। হাইকোর্ট রিটের বাদী ফরিদ আহমদ শিবলীকে আপিল বিভাগে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সে অনুসারে একই বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি আপিলে আবেদন করেন তিনি।