ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়নের জন্য দলীয় আবেদনপত্র সংগ্রহ করেছন ড. বশির আহমেদ

ঢাকা-১০ আসনের মনোনয়ন নিলেন আইনজীবী নেতা ড. বশির আহমেদ

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের ছেড়ে দেওয়া ঢাকা-১০ সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে দলটির মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. বশির আহমেদ।

আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়নের জন্য দলীয় আবেদনপত্র সংগ্রহ করেছেন তিনি।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরের্শন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ঢাকা-১০ আসন থেকে পদত্যাগ করেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। আসন শুন্য হওয়ায় ব্যাপক আলোচনা আছে এই আসনের উপ নির্বাচন নিয়ে। কে আসছেন ঢাকা ১০ আসনে এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে জনমনে। এই আসন আওয়ামী লীগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আসন বলে ধরে নেয়া হয়। কারণ এখানে রয়েছে জাতির পিতার বাড়ি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাড়ি, আওয়ামী লীগ সভাপতির অফিস।

জানা গেছে, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলের মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে মনোনয়ন প্রত্যশীদের সাক্ষাৎকার নিয়ে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে।

এদিকে তাপসের আসনে আইনজীবী নেতা ড. বশির আহমেদকে মনোনয়ন দিতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা দাবি জানান।

ঢাকা- ১০ আসনে আলোচনায় কে এই বশির আহমেদ?
নোয়াখালীতে জন্ম গ্রহণকারী সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সফল সম্পাদক এই আইনজীবী নেতা নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি থাকাকালীন বারবার নোয়াখালী জেলে বন্দি ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতি সম্পৃক্ত ড. বশির ১৯৮০-৮১ সালে ঢাকসু নির্বাচনে ওবায়দুল কাদেরের (বর্তমান সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক) প্যানেলে প্রার্থী ছিলেন। ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। শেখ ফজলুল করিম সেলিম চেয়ারম্যান থাকাকালীন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য হয়েছিলেন। ১৯৮৩ সালের শিক্ষা আন্দোলনের ফ্রন্ট লাইনের শিক্ষা সৈনিক তিনি। তৎকালীন সকারের রোষানলে পড়ে ১৪ দিন ঢাকা কেন্টনমেন্টে বন্দি ছিলেন। জাতীয় শিক্ষা মনুমেন্ট প্রতিষ্ঠা ও জাতীয় অধিকার চত্বর সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।

বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী এই আইনজীবী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্কুল ও কলেজের প্রতিষ্ঠাতা। মানবতার সেবায় নিবেদিত প্রত্যেক জেলা সদরে ৩০ বেডের ICU /CCU স্থাপনের মামলার প্রধান আইনজীবী। ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান করার জন্য রিট মামলার পিটিশনার ও আইনজীবী এবং বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির অন্যতম সদস্য ড. বশির আহমেদ।