কারাদণ্ডের বদলে ৬ মাস বিনা বেতনে গান শেখানোর 'সাজা'
আদালত (প্রতীকী ছবি)

সাক্ষ্য প্রদান না করায় মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তার সাজা

ফৌজদারি মামলায় সাক্ষ্য প্রদান না করায় মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তাকে সাজা প্রদান করেছে নোয়াখালীর একটি আদালত। চাটখিল থানার এস.আই মোঃ ইমদাদ হোসেন চৌধুরীকে দুইশ পঞ্চাশ টাকা জরিমানা অনাদায়ে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।

নোয়াখালীর অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর মুহাম্মদ ফারুকী বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এ আদেশ দেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, দীর্ঘ ৬ বছর ধরে বিচারাধীন সংশ্লিষ্ট মামলার ১১ নং সাক্ষী তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই মোঃ ইমদাদ হোসেন চৌধুরীকে আদালতে উপস্থিত হতে সমন ও গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়। আদেশের কপিসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি ও নোয়াখালীর পুলিশ সুপার বরাবর প্রেরণ করা হয়। এরপরও সাক্ষ্য প্রদানের জন্য আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় এস আই ইমদাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৮৫ (A) ধারার বিধান মতে সংক্ষিপ্ত বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কেন গ্রহণ করা হবে না, তা জানাতে গত বছরের ৭ অক্টোবর স্ব-শরীরে আদালতে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন বিচারক। কিন্তু ওই পুলিশ কর্মকর্তা এরপরও আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য প্রদান বা কারণ দর্শনোর জবাব দাখিল করেননি। সংশ্লিষ্ট মামলায় ইতোমধ্যে ৬ জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করলেও সরকারি সাক্ষী মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাক্ষ্য প্রদান না করায় বিচারকার্য শেষ করতে বিলম্ব হয়। এজন্য আদালত ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে উল্লেখিত সাজা প্রদান করেন।

প্রসঙ্গত, আদালতের নির্দেশ বারবার অবজ্ঞা করে সাক্ষ্য প্রদান না করায় ইতোমধ্যে বেশ কর‍্যেকজন জখমী সনদ প্রদানকারী চিকিৎসক এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা তথ্যা পুলিশ সাক্ষীকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৮৫ (A) ধারার বিধান মতে সংক্ষিপ্ত বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাজা প্রদান করেছেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর মুহাম্মদ ফারুকী। এতে বিচার বিভাগের প্রতি সাধারণ জনগণসহ বিচারপ্রার্থীদের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।